একটি বাওবাব গাছের কাণ্ডের পরিধি ১৫৫ ফুট!

follow-upnews
0 0

বাওবাব গাছ Adansonia গণের অন্তর্ভুক্ত। এই গাছ মূলত পাওয়া যায় শুষ্কভূমিতে,  বিশেষত আফ্রিকা এবং মাদাগাস্কার দ্বীপের বৃক্ষহীন তৃণভূমিতে এই গাছ দেখা যায়। আফ্রিকা, আরব এবং অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে এই গাছের আদি নিবাস।

গাছগুলো সোজা উপরে উঠে যায়, কাণ্ড খুব চওড়া হয়, মাথায় ঝোপের মত সামান্য ডালপালা এবং অল্প কিছু পাতা থাকে। উপরটা দেখতে অনেকটা ছাপার মত এবং নিচটা বোতলাকৃতির। পাতাহীন গাছ দেখে অনেক সময় মনে হয় যেন গাছটা উল্টো করে রাখা হয়েছে। বছরের নয় মাসই এই গাছে কোনো পাতা থাকে না। পত্রমোচী বাওবাব শিমুল গোত্রীয়। শীতকালে যখন পাতা ঝরে যায় তখন বাওবাব গাছকে অনেকটা মরা গাছের মতো দেখায়। গ্রীষ্মের শেষে নতুন পাতা জন্মায়। এই গাছ উচ্চতায় ১০০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ ফুট উচ্চতার গাছ বেশি দেখা যায়। পূর্ণবয়স্ক গাছ ১৫ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত হয়। মরু অঞ্চলের গাছ বলে খুব কম পানিতে এরা বাঁচতে পারে এবং কাণ্ডে পানি জমায়। বর্ষাকালে গাছগুলো দীর্ঘ কাণ্ডের মধ্যে পানি জমিয়ে রাখে। এই গাছ কয়েক হাজার বছর বেঁচে থাকে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬০০০ বছর বয়স্ক একটি বাওবাব গাছ রয়েছে। বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, গাছটি উচ্চতায় ৭২ ফুট হলেও এটির কাণ্ডের পরিধি ১৫৫ ফুট।

বাওবাব গাছ মরু অঞ্চলের মানুষের অনেক কাজে আসে। গাছের প্রতিটি অংশ কাজে লাগে। গাছের বাকল দিয়ে পোশাক ও শক্ত দড়ি তৈরি করা হয়। গাছের ফল খাওয়া যায় এবং পাতা থেকে আচার তৈরি করা যায়। এছাড়া গাছের পাতা থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধও তৈরি হয়। মরু ঝড়ে মানুষ এই গাছের গুড়ির গর্তে আশ্রয়ও নিয়ে থাকে।

Next Post

ঠিক নেই কিচ্ছু ঠিক নেই

প্রিয়তম, ভেবেছ কি কোনোদিন প্রতিটি ‘না’ কতগুলো শক্তিশালী ‘হ্যাঁ’ দিয়ে তৈরি? আমি বলি ‘না’ … তুমি মুখ অন্ধকার করে বল ঠিক আছে! কেন বল ‘ঠিক আছে’? ঠিক নেই, কিচ্ছু ঠিক নেই, তুমি ঠিক নেই, আমি ঠিক নেই। এভাবে কি হয়? জয় নয়, প্রেম মানে আমাতে তোমার পরাজয়। আমি তো পিছাই, […]