অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি কোষের ক্ষয় ও অকালে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে, শরীর চাঙ্গা করে, ত্বক চকচকে করে। শুধু খেলে নয়, ত্বকে এবং চুলে ব্যবহার করলেও এই চায়ের উপকারিতা অনেক।
এই চা-গাছ চুল ও ত্বকে চমৎকার কাজ করে। পাশাপাশি গ্রিন টি’তে রয়েছে নানান স্বাস্থ্যোপকারিতা।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে গ্রিন টি’র নানান ব্যবহার সম্পর্কে এখানে জানানো হল।
— শুকনা গ্রিন টি গরম পানিতে ফুটান। ঠাণ্ডা হলে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। খুশকি ও চুল পড়া দূর হবে এবং চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
— ত্বক এক্সফলিয়েট করতে শুকনা গ্রিন টি’র পাতা ব্যবহার করুন। গ্রিন টি’র পাতা ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন।
— সংক্রমণ, চোখের নিচের ফোলাভাব এবং চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর করতে গ্রিন টি ব্যবহার করা যায়। গ্রিন টি-ব্যাগ পানিতে দিয়ে তা রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করুন। এরপর ঠাণ্ডা ব্যাগটি দুচোখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে রেখে দিন।
সৌন্দর্যচর্চায়
টি ট্রি’র তেল গ্রিন টি’র পাতা থেকে সংগ্রহ করা হয়। এর আছে নানান স্বাস্থ্যগুণ যেমন- অ্যান্টিসেপ্টিক, ফাঙ্গাসরোধী, ব্যথানাশক এবং উদ্দীপক উপাদান।
যেভাবে ব্যবহার করা যায়
♣ ১০-১২ ফোঁটা জলপাই বা কাঠবাদামের তেলের সঙ্গে দুএক ফোঁটা টি ট্রি তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। শুষ্ক বা চর্মরোগাক্রান্ত স্থানে ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে টি ট্রি তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
♣ তৈলাক্ত ত্বকের টোনারের সঙ্গে টি ট্রি তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। বেন্টোনাইট মাটির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি তেল মিশিয়ে মাস্কের মতো ব্যবহার করা যায়।
♣ ব্রণ কমাতে দুতিন ফোঁটা টি ট্রি তেল, এক টেবিল-চামচ টক দই ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
♣ নখের বৃদ্ধি বাড়াতে টি ট্রি তেল, জলপাই তেল ও নারিকেল তেল মিশিয়ে তাতে নখ ডুবিয়ে রাখুন। নখের ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়া দূর করতে কেবল টি ট্রি তেল নখে ব্যবহার করুন।