পেঁপের অন্য এক নাম অমৃততুন্বী। এটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। নামের জন্য নয়, গুণ বিচারেই পেঁপের মূল পরিচয়। ‘১০০ গ্রাম পেঁপেতে শর্করা থাকে ৭.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট মাত্র ০.১ গ্রাম। এই উপাদানগুলো শরীরের চাহিদা মেটায়, পাশাপাশি পেঁপে শরীরের রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।’ পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন পেঁপে খাওয়া জণ্ডিজ রোগীর জন্য খুবই ভালো, কারণ, পেঁপে খেলে লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া পেঁপেতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকরোধী গুণাবলী।
ছোঁয়াচে রোগের বিরুদ্ধে পেঁপে যুদ্ধ করতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন। দাঁত, চুল ও ত্বকের জন্য সুফল বয়ে আনে পেঁপে।
বুড়িয়ে যাওয়াকে দূরে ঠেলে দেয়ার মতো উপাদানও রয়েছে পেঁপেতে। পেঁপেকে কোনো খারাপ কোলেস্টেরল ও চর্বি বা ফ্যাট নেই। অতিরিক্ত মোটা মানুষ নিশ্চিন্তে পেঁপে খেতে পারেন অন্যসব খাবার বাদ দিয়ে। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মিষ্টি পেঁপে না খাওয়ায় ভালো।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, গরু, খাসি বা মুরগির মাংসের সঙ্গে কাঁচা পেঁপে বা রান্না করা পেঁপে খেলে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়, মাংসের আমিষ ভালোভাবে রক্তের সঙ্গে মেশে এবং মাংসের চর্বির ক্ষতিকর দিকটা কমে আসে।
যখন পেঁপে খাবেন না
কিছুক্ষেত্রে পেঁপে না খাওয়া উচিত, যেমন, গর্ভবতী মায়েরা এটা না খাওয়া ভালো, কারণ, পেঁপে গর্ভপাত ঘটাতে সক্ষম বলে অনেক গবেষণায় বলা হয়েছে। কাঁচাপেঁপে জরায়ু সংকুচিত করে ফেলে, তবে পাকা পেঁপেতে এই ঝুঁকি কিছুটা কম। তাছাড়া পেঁপেতে যেহেতু ঔষধী গুণাগুণ রয়েছে তাই এটা মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার চেয়ে নিয়মিত খাওয়া উচিত।
এছাড়া পেঁপে ব্লাড সুগার কমিয়ে দেয়। ইসোফেগাস টাইট করে দেয়, ফলে যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের পেঁপে সাবধানে খাওয়া উচিত।