ইরানের নারীরা হিজাব পরতে আর বাধ্য নয়

Iran
হিজাব
ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবে ক্ষমতায় আসেন আয়াতোল্লাহ খোমেনি। মূলত এরপর থেকেই ইরানে হিজাব বাধ্যতামূলক হয়।

তেহরান কর্তৃপক্ষ বলছে, হিজাব না পরে কোনো নারী বাইরে গেলেও পুলিশ তাঁদের আর গ্রেফতার করবে না। ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর, ১৯৭৯ সাল থেকে মহিলাদের ঘরের বাইরে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। শুধু হিজাব নয়, শরীরও ঢিলেঢালা পোশাক দিয়ে ঢাকা সেখানে বাধ্যতামূলক। তবে গত সপ্তাহে তেহরানের পুলিশ প্রধান জেনারেল হোসেন রাহিমি বলেছেন, ‘ইসলামী ড্রেস কোড’ না মেনে বাইরে গেলেও পুলিশ কোনো নারীর কাছ থেকে আর কৈফিয়ত তলব করবে না।   

My Stealthy Freedom Facebook page নামে একটি পেজ থেকে মাশি আলিনেজাদ নামে যে ব্যক্তি মহিলাদের বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন, তিনি বলেছেন, “এটা একটা অগ্রগতি, তবে পুলিশ প্রধানের সতর্ক শব্দ ব্যবহার আমাদের কিছুটা সন্দিহানও করছে।”

হিজাব
ভিডিওতে দেখা যায় একজন নারী একটি স্টেজে খোলা চুলে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি তার স্কার্ফ লাঠির মাথায় বেঁধে রেখে বাতাসে উড়াচ্ছেন। ছবিটি ইউটিউবের একটি ভিডিও থেকে নেওয়া।

ইসলামী বিপ্লবের পর থেকেই ইরানের নারীরা হিজাব বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। পরের বছরই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন লক্ষাধিক নারী রাস্তায় নেমেছিল বাধ্যতামূলক হিজাব বিরোধী প্রচারণায়।

ইরানিয়ান ফটোসাংবাদিক হেনেগমেহ গোলেসটান, যিনি উপরের ছবিটি তুলেছিলেন, এখন লন্ডন বসবাস করছেন, বলেছেন, “নারীরা সেদিন আইনটি মানতে পারেনি। তারা স্বতস্ফূর্তভাবে সেদিন মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল, কেউ কাজে যায়নি।”

মাশি আলিনেজাদ বলেছেন, “তেহরান পুলিশ প্রধানের বক্তব্য আমাদের আশাবাদী করছে, তবে এখনো আমাদের অনেক পথ যেতে হবে।”