ইসলাম নিয়ে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন জর্ডানের গুরুত্বপূর্ণ একজন লেখক ও মানবাধিকারকর্মী। ওই লেখকের নাম নাহিদ হাত্তার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, ফেসবুকে আল্লাহ এবং ইসলামের অবমাননা হয় এমন কার্টুন শেয়ার করায় তিনি ধর্মাবমাননার মামলার মুখে পড়েন। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তিনি জর্ডানের রাজধানী আম্মানের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানীর জন্য হাজির হয়েছিলেন। কোর্ট চত্বরেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে রিয়াদ আব্দুল্লাহ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। রিয়াদ স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম, যার উগ্রপন্থী হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।
এর আগে ঐ কার্টুন শেয়ারের জন্য নাহিদ হাত্তারের ১৫ দিনের কারাদণ্ড হয়েছিল। অভিযোগ করা হচ্ছে, ফেসবুকে মি. নাহিদের শেয়ার করা কার্টুনটিতে কিছু উল্লেখ না থাকলেও তাতে ইসলাম ধর্মের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এবং সেখানে বেহেস্তের যে কল্পিত দৃশ্য দেখানো হয়েছে তাতে আল্লাহকে অবমাননা করা হয়েছে।
কার্টুনটি শেয়াররের পর থেকে নাহিদ হাত্তার স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েছিলেন। কট্টরপন্থীরা তাকে হত্যা করতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করেছিলেন। অবশেষে সেই ধারণাই সত্যি হয়েছে।
ধর্মীয় কর্তৃপক্ষও ঐ কার্টুনটি শেয়ারের জন্য নাহিদ হাত্তারের কড়া সমালোচনা করেছিল। কতৃপক্ষের দাবি, কার্টুনটি শেয়ার করে তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন। যদিও লেখক আত্মপক্ষ সমর্থন করে সবসময় বলে আসছেন, তিনি আক্রমনাত্মক কিছু করেননি, ওটি ছিল শুধুই একটি কার্টুন যা বিশেষ কিছু বর্ণনা করে না। বেহেশত নিয়ে র্যাডিকেল ধারণার একটা প্রকাশ সেখানে কেউ পেতে পারে বলে তিনি মত দিয়েছিলেন।