Headlines

নিরীশ্বরবাদী এ পোপ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো সম্ভবত আপনি জানেন না

নাস্তিকতা মানে যদি প্রচলিত ধর্মে অবিশ্বাস, নাস্তিকতা মানে যদি হয় মানবতা, নাস্তিকতা মানে যদি হয় বিজ্ঞানমনস্কতা, তবে ভ্যাটিকানের বর্তমান পোপ ফ্রান্সিস পৃথিবীর অন্যতম একজন নাস্তিক। তিনি নিজেকে কখনও নাস্তিক দাবী করার প্রশ্ন আসে না, কারণ, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই একজন ধর্মযাজক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু পৃথিবীর রকম বদলেছে, এখন ধর্মীয় পোশাকের আড়ালে থেকেও অনেকে মানবতাবাদের চর্চা করেন। বোদ্ধামহলের অনেকের ধারণা যে বর্তমান পোপ সম্ভবত সেই দলেরই শীর্ষস্থানীয় একজন।

১. তিনি দক্ষিণ আমেরিকা হতে নির্বাচিত প্রথম পোপ। এর আগে এমনকি ইউরোপের বাইরে থেকে কেউ পোপ নির্বাচিত হননি।

১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর পোপ ফ্রান্সিস আর্জেন্টিনার বুয়েনেস আইরেসে জন্মগ্রহণ করেন।

২. তিনি ২৬৬তম পোপ, যিনি ২০১৩ সালে ৭৬ বছর বয়সে নির্বাচিত হয়েছেন। পোপ ফ্রান্সিসের আসল নাম জর্জ মারিও বারগগলিও।

৩. ধর্ম যাজক হওয়ার পূর্বে তিনি একজন কেমিকেল টেকনিশিয়ান ছিলেন। শুরুতে তিনি রসায়ন শাস্ত্রে পড়াশুনা করেছেন।

৪. পোপ হওয়ার আগে তিনি বুয়েনসআয়ার্সের প্রধান ধর্মযাজক (১৯৯৮-২০১৩) ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি কার্ডিনাল পদমর্যাদায় উন্নীত হন। ২০০৫ সালে তিনি আর্জেন্টিনার সকল বিশপদের প্রধান হিসেবে মনোনিত হন।

৫. পোপ ফ্রান্সিস মনোবিজ্ঞান এবং সাহিত্যের মত বিষয় পড়েছেন এবং পড়িয়েছেন। থিওলজিতে ডক্টরেট করেছেন জার্মানির ফ্রেইরবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

৬. একনিষ্ট ক্যাথলিক হলেও জর্জ মারিওর  (পোপ ফ্রান্সিস) মা চাইতেন না যে তিনি ধর্মগুরু হন।

৭. তিনি আর্জেন্টিানার সান জোসে কলেজের রেক্টর ছিলেন এবং সেখানে অধ্যাপনাও করেছেন কিছুদিন।

৮. সাদামাটা জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন বর্তমান পোপ। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে মেলামেশার ক্ষেত্রে তার মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই।  ভ্যাটিকানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি দরিদ্র মানুষের জীবনমানের উন্নতির কথা বলে আসছেন।

৯. দীর্ঘদিন পোপ হিসেবে না থেকে তিনি ২, ৩ বা ৫ বছরের জন্য পোপ থাকার কথা বলেছিলেন নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে।

১০. বিবর্তনবাদ এবং বিগ ব্যাং তত্ত্বকে সত্য বলে ঘোষণা করেছেন খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ এই ধর্মগুরু।

উল্লেখ্য, এক সময় ক্যাথলিক চার্চ “পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে” এই তত্ত্বের বিরোধিতা করেছিল এবং তত্ত্বের উদ্ভাবক গ্যালিলিওকে ধর্মবিরোধী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। গ্যালিলিও পরে ওই তত্ত্বটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

জিওর্দানো ব্রুনোকো পুড়িয়ে মারার ঘটনাও আমরা জানি।


সম্পাদনা: শেকস্ রাসেল, লন্ডন হতে