পশ্চিমা বিশ্বকেই মানব জাতির স্বার্থে মৌলবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে তার সদ্য নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘জার্নি টু জাস্টিস’ এর প্রদর্শনী পরবর্তী আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়ত ইসলামের নামে নারকীয় গণহত্যার যে সূচনা করেছিল, তারই ধারাবাহিকতা হলো আজকের গ্লোবাল টেরোরিজম। ইসলামের নামে বিশ্বব্যাপী আইএস আইসিস আজ যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে জামায়াত ও মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো সংগঠনগুলোই এর পেছনের মূল পরিকল্পনাকারী।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে টেরোরিস্ট শক্তিগুলোকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব- এমনটি ভাবা ঠিক নয়। রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আর এই সামাজিক প্রতিরোধ তখনই সম্ভব যখন সমাজকে রেডিক্যালাইজড হওয়া থেকে রক্ষা করা যাবে।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খোন্দকার মোহাম্মদ তালহা ও ব্রিটিশ সাংবাদিক গীতা সায়গলও বক্তব্য রাখেন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সময়ের বাস্তবতা বলে মন্তব্য করে বলেন, কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ ৭১-এর যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পেরেছে- এটি সারা বিশ্বের মানবতাবিরোধী শক্তির জন্য একটি মেসেজ। একইসঙ্গে ভিকটিমদের জন্য অনুপ্রেরণা।
গীতা সায়গল তার বক্তৃতায় ‘জার্নি টু জাস্টিস’কে একটি অনবদ্য দলিল মন্তব্য করে বলেন, ৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের পক্ষে সারা বিশ্বের সভ্য সমাজের অবস্থানটিই জানান দিয়েছে জার্নি টু জাস্টিস’।
যুক্তরাজ্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহযোগিতায় হাইকমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিনিস্টার প্রেস নাদিম কাদির।
সংবাদ: বাংলানিউজ