ভারতের ধর্ষক ধর্মগুরু রাম রহিম সিং জেলে গিয়েও নানা কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। আদালতের নিয়ম অনুযায়ী তাকে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাই জেলখানায় বাধ্যতামূলকভাবে কাজ করতে হবে তাকে।
সেই মতো হরিয়ানার সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষক বাবাকে ‘পাপোশ’ তৈরির কাজ দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার থেকেই তাকে সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাপোশ তৈরির কাজে ফাঁকি দেওয়ার জন্য অসুস্থতার ভান করছেন তিনি। কাজ না করার জন্য মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে অজ্ঞান হওয়ার নাটক করছেন। ক্ষেপে গিয়ে মাঝে মাঝেই উচ্চপদস্থ কারা কর্মকর্তাদের অভিশাপও দিচ্ছেন ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান।
এক কারা কর্মকর্তা ডিউটি থেকে ফিরে তার ঘনিষ্ঠদের বলেন, ‘বাবাজিকে নিয়ে আর পারা যাচ্ছে না। তাকে পাপোশ তৈরি করতে বললেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ভান করছেন। কারা কর্মকর্তারা কাজ করার জন্য জোর করলে তাদের অভিশাপ দিচ্ছেন।
‘
উল্লেখ্য, ধর্মগুরু রাম রহিম ডেরা সাচা সাওদার প্রধান। তার অধীনে ৩৮টির মতো আশ্রম রয়েছে। মূল আশ্রমটি হরিয়ানার সিরসায়। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জনপ্রিয়তা কুড়ালেও তার জীবন-যাপন নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। আশ্রমের নারী সেবিকাদের ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খুনের অভিযোগও আছে। তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে নানাভাবে তাদের হয়রানি করা হতো। তার অর্থের উৎস নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
আশ্রমের দুই নারীকে ধর্ষণের দায়ে পৃথক দুই মামলায় ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তার। এখন তিনি রোতাকের কারাগারে সাধারণ আসামির মতো সাজা খাটছেন।