ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে গত তিন বছরে দেশটিতে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এরমধ্যে দেশটির বড় শহরগুলোর মধ্যে ধর্ষণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী নয়া দিল্লি।
ভারতের ন্যাশনাল রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৯ সালে ভারতে ২১ হাজার ৩৯৭টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২২ হাজার ১৭২ এবং ২৪ হাজার ২০৬টিতে। এছাড়া সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট, বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে খোদ সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকদেরই।
গত মাসেই ভারতের তামিলনাড়ুতে এক শিক্ষানবীশ নার্সকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হন দুজন আয়ুর্বেদ চিকিত্সক। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। চলতি বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে এক মূক ও বধির রোগিণীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হন এক জুনিয়র ডাক্তার। ২০১০ সালের ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে দুই বছরের এক শিশুর মাকে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত হন আরেক চিকিত্সক।
রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান বলছে ধর্ষণের ঘটনায় সবার উপরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশে ২০০৯ সালে মধ্যপ্রদেশে ২৯৯৮টি, ২০১০ সালে ৩১৩৫টি এবং ২০১১ সালে ৩৪০৬টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে ২৩৩৬টি, ২০১০ সালে ২৩১১টি ও ২০১১ সালে ২৩৬৩টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়। তৃতীয় স্থানে থাকা উত্তরপ্রদেশে গত তিন বছরে যথাক্রমে ১৭৫৯, ১৫৬৩ ও ২০৪২টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
দেশটির চারটি মেট্রো শহরে ধর্ষণের পরিসংখ্যান বলছে খোদ রাজধানী দিল্লিতেই সব থেকে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০০৯ সালে দিল্লিতে ৪০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, ২০১০ ও ২০১১ সালে এর সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৪১৪ ও ৪৫৩ তে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। ২০০৯ সালে কলকাতায় ৪২টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়। ২০১০ সালে সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ৩২ এবং ২০১১ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬টিতে। সূত্র: জিএন