ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের বাধা কোথায়’ শীর্ষক আলোচনা সভা

follow-upnews
0 0

প্রেস ক্লাব

বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘প্রতিবাদী লেখক জাফর ইকবাল হত্যা প্রচেষ্টা: ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের বাধা কোথায়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গির পাশাপাশি জঙ্গির সঙ্গীদেরও ত্যাগ করতে হবে।  যারা অপরাধ করে, তারা গণতন্ত্রের সঙ্গে যাচ্ছে না। সবাই গণতন্ত্রের অধিকারপ্রাপ্ত হন না। যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মূল্যবোধের সঙ্গে একমত হন, যারা একে অপরের ওপর হস্তক্ষেপ করবেন না, তারাই গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করবেন।’ দেশে মৌলবাদী রাজনীতি এবং রাজাকার প্রতিষ্ঠিতকরণের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে ‘রাজনীতির বিষবৃক্ষ’ বিএনপিকে উপড়ে ফেলার কথা বলেন তিনি।

জাফর ইকবালের ওপর হামলার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহারের পক্ষে যারা ওকালতি করে, তারা প্রথমেই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে দেন—ভিন্ন ধর্মের লোককে আমি সহ্য করবো না, তাকে বাদ দিতে হবে। সেদিক থেকেই যখন রাজনীতির চর্চা হয়, সেখানে দার্শনিকভাবেই একটি সংঘাতের কিংবা আক্রমণের কিংবা বল প্রয়োগের নির্দেশনা থাকে। আপনি হেফাজতে ইসলামের কথাই বলুন অথবা আইএস-এর কথা বলুন অথবা তালেবানের কথা বলুন অথবা পাকিস্তানি জামায়াতের কথা বলুন অথবা বুদ্ধিজীবীদের ওপর হামলাকারী জঙ্গিগোষ্ঠীর কথা বলুন সবাই ওই মতবাদে বিশ্বাস করে বলেই ঘটনাটি ঘটেছে।’

ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ব্যাপারে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘প্রথমেই বলতে হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রত্যেকটি মানুষ, রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ আমাদের সবারই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো উচিত। এটা বঙ্গবন্ধু বহাত্তরের সংবিধানে করেছিলেন। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করাটা কোনও অগণতান্ত্রিক কাজ নয়। এটা গণতান্ত্রিক কাজ। আমরা বলি গণতন্ত্র হচ্ছে আইনের শাসন এবং সুশাসন।’

এ ব্যাপারে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধে বাধা আসলে কোথায়? আমরা মহান কিছু আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মহান কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার সূত্রপাত করেছি এবং সাফল্যের সঙ্গে তার সমাপ্তি টেনেছি। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। পরবর্তীতে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে শহীদ মাতা জাহানারা ইমামের আন্দোলন একটা গণজাগরণের সৃষ্টি করেছিল। এই চারটি ঘটনা যদি আমরা দেখি ও আলোচনা করি তাহলে আমাদের বলতে হবে—আমরা সবাই যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, এসব উত্থান-পতনের সঙ্গে জড়িত, তারা এইসব আন্দোলনের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম।

রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত। সেইভাবেই শুরু করেছিলাম আমরা কিন্তু দুর্ভাগ্য ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর যে সামরিক শাসন বাংলাদেশকে দখল করে নিয়েছিল, তারা বল প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের সংবিধান থেকে সেই অনুচ্ছেদগুলো, সেই ধারাগুলো বাদ করে দিয়েছে। এটা একটি অগণতান্ত্রিক কাজ ছিল।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য আমার তরফ থেকে যা করার আমি করে যাবো। মন্ত্রী পরিষদে তদবির করবো, সংসদে তদবির করবো, রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’ 

 
Next Post

ভারতের মধ্যে দিল্লিতে সবচে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে

ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে গত তিন বছরে দেশটিতে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এরমধ্যে দেশটির বড় শহরগুলোর মধ্যে ধর্ষণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী নয়া দিল্লি। ভারতের ন্যাশনাল রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৯ সালে ভারতে ২১ হাজার ৩৯৭টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে সেই […]
ভারত