দীর্ঘদিন ধরে নীপিড়নের শিকার হওয়া পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের স্বাধীনতার জন্যে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বালুচ রিপাবলিকান পার্টির মুখপাত্র শের মহম্মদ বুগতি। এর অাগে বালুচের অধ্যাপক, কবি নীলা কাদরীও ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বালুচিস্তানের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রেও নয়াদিল্লির সেভাবে সহায়তা করা উচিৎ। পাকিস্তানের কাছ থেকে বালুচিস্তানের স্বাধীনতা অর্জন করতে ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, রিপাবলিকান পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ব্রাহুমদাগ বুগতি তার দুই সঙ্গী শের মহম্মদ বুগতি ও আজিজুল্লাহ বুগতিকে নিয়ে এখন সুইজারল্যান্ডে স্বেচ্ছা নির্বাসিত রয়েছেন।
শের মহম্মদ বুগতি আরো বলেন, ভারতের উচিৎ বালুচ জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের স্বার্থে বালুচিস্তানের নির্বাসীত নেতাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া।
উল্লেখ্য, বালুচিস্তান পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের মধ্যে একটি, এবং এটি জন্মলগ্ন থেকেই চরম অস্থিতিশীল প্রদেশ। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রদেশটির অবস্থান। ভারত ভাগের পর থেকেই এই প্রদেশের মানুষ স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসছে। যদিও শুরু থেকেই নামকাওয়াস্তে স্বায়ত্তশাসিত তারা।
তবে পাকিস্তান বরাবরই যেকোনো ধরনের আন্দোলনকে কঠোর হস্তে দমন করেছে। যদিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বালুচিস্তানের জনগণ হত্যা, গুম, ধর্ষণের মত মারাত্মক অভিযোগ জানিয়ে আসছে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস। পুরো পাকিস্তানের গ্যাস সরবরাহ হয় বালুচিস্তান থেকে।
এর আগে ব্রাহুমদাগ বুগতি এক টুইটার বার্তায় একই দাবী করেছিলেন। পাকিস্তানি সেনা বাহিনী বেলুচিস্তান না ছাড়লে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে তাদের যে অবস্থা হয়েছিল তার চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে বলে বুগতি হুঁশিয়ার করেছিলেন। এই সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেলুচিস্তানের জনগণের পাশে থাকার অনুরোধ জানান।