সাদা চিনিতে মিলেছে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপদান

ঘন চিনি

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে চিনির ১৬টি নমুনা সংগ্রহ করে সিঙ্গাপুর থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনে। সেই পরীক্ষায় বাংলাদেশে আমদানিকৃত সাদা চিনিতে পাওয়া গেছে কৃত্রিম উপাদান সোডিয়াম সাইক্লামেটের, যেটি পরিচিত ঘনচিনি নামে, এটি শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

সাদা পাউডারের মত পদার্থ সোডিয়াম সাইক্লামেট বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয় ২০০৬ সালে। চিনির চাইতে ৩০-৫০ গুণ বেশি মিষ্টি, দামে কম এ পদার্থটি স্বাদে চিনির সাথে তফাৎ কম, তাই এটি ভেজাল হিসেবে চিনিতে মেশালে বোঝা সম্ভব নয়।

এই উপাদানটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে নিষিদ্ধ আছে।

আমাদের দেশে এই সাদা চিনির ব্যবহারই বেশি। এটি যেমন মিষ্টি তৈরির উপদান, পাশপাশি মায়ের শিশু খাদ্য মিষ্টি করতে ব্যবহার করে এই চিনি। বাজারের প্রায় ৯০% ই সাদা চিনি। 

তাহলে কেন এখানে চিনিতে ব্যবহৃত হচ্ছে এটি? এর স্বাস্থ্যঝুঁকিই বা কতটা?

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-এর পরিচালক ড. মোঃ মনিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় জাপান আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে ঘন চিনি নিষিদ্ধ, বাংলাদেশেও এটি নিষিদ্ধ, কিন্তু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার লোভে হয়ত ঘনচিনি মিশিয়ে চিনি বাজারজাত করছে। যেটি ভয়ানকভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। 

ঝুঁকি সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শারমিন রুমি আলীম বলেন, “সোডিয়াম সাইক্লোমেট শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এবং পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের জন্যও এটি দায়ী। আমরা যখন সোডিয়াম সাইক্লোমেট খাই তখন আমাদের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলো সোডিয়াম সাইক্লোমেট থেকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সংগ্রহ করে নেয়। যদি দীর্ঘদিন ধরে আমরা সোডিয়াম সাইক্লোমেট খাই তাহলে ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।