বিশিষ্ট আইনজীবী এবং নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। ১৩ জানুয়ারি রাত ৭টায় তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৪ জানুয়ারি সংগঠনের এক শোক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়–
‘বাংলাদেশের বিশিষ্ট আইনজীবী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নানের অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।
‘১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতপ্রধান গোলাম আযমের প্রতীকী বিচারের উদ্দেশ্যে গঠিত গণআদালতের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে জামায়াত সমর্থিত খালেদা জিয়া সরকার যখন শহীদজননী জাহানারা ইমাম সহ ২৪জন বরেণ্য নাগরিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে সেই মামলায় জেলা জজের আদালতে আমাদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান। তখন থেকে নির্মূল কমিটির সকল কার্যক্রমে, বিশেষভাবে আইনি লড়াইয়ে আমাদের অন্যতম শক্তি ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সন্ত্রাসের ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা প্রদানের জন্য সারা দেশে ‘আইন সহায়ক কমিটি’ গঠনের ক্ষেত্রে তিনি বলিষ্ঠ অবদান রেখেছিলেন এবং নিজেও বহু প্রান্তিক ভিকটিমকে আইনি সহযোগিতা প্রদান করেছেন।
‘মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নাগরিক আন্দোলনে আমাদের সহযোদ্ধা এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নানের অকাল মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কখনও পুরণ হবে না। আমরা তাঁর পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’
স্বাক্ষরদাতা:
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ডাঃ কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গাফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, এডভোকেট দীপক ঘোষ, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্যাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, সাংবাদিক দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রাণী শীল, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, লেখক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি প্রমুখ।