মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারীবিদ্বেষী এবং সংবিধানবিরোধী সুপারিশে নির্মূল কমিটির নিন্দা

follow-upnews
0 0
ঢাকা, ১৪ জুন, ২০২১
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রদত্ত গার্ড অব অনারে নারী কর্মকর্তার উপস্থিতি সম্পর্কে আপত্তি জানিয়ে গতকাল (১৩জুন) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি যে প্রস্তাব করেছে তার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
এ বিষয়ে আজ (১৪ জুন) সংগঠনের কেন্দ্র ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়—
‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরমৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রদত্ত গার্ড অব অনারে সরকারের নারী কর্মকর্তা বা পুলিশবাহিনীর নারী সদস্যদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি যে সুপারিশ করেছে, গণমাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে পেরে আমরা হতভম্ব হয়ে গিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীর মর্যাদা ও সমঅধিকার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ মর্যাদার জন্য যেসব কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরেলেখা থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি ধর্মের দোহাই দিয়ে কীভাবে এ ধরনের নারীবিদ্বেষী, মানবাধিকারবিরোধী, সংবিধানবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সুপারিশ করতে পারে তা আমাদের বোধের অতীত।
আমরা এই ন্যক্কারজনক প্রস্তাবের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। ‘জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলাম সহ জঙ্গী মৌলবাদী কোনও ওয়াহাবী, সালাফী, মওদুদীবাদী সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের কাছে ইসলামের দোহাই দিয়ে এ ধরনের দাবি জানায়নি। তারা নারী নেতৃত্ব হারাম বলে ফতোয়া দিলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় তা মেনে নিয়েছে। সংসদীয় কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের জানাজার গার্ড অব অনারে নারীদের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে আপত্তি করে মৌলবাদের যে বিষধর সাপকে গর্ত থেকে বের করে আনতে চাইছে এর পরিণতি বর্তমান সরকার, সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতির জন্য ভয়াবহ হবে।
ওয়াহাবী-মওদুদীবাদীরা মাজার জেয়ারত, মিলাদ শরিফ আয়োজন, নারীশিক্ষা, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া এবং সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রের মূলনীতি সহ অনেক কিছুর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছে।এদের একটি দাবিও যদি মানা হয় বাংলাদেশ কালক্রমে মোল্লা উমরের সন্ত্রাসী তালেবানি রাষ্ট্র আফগানিস্তান বা জিয়াউল হকের পাকিস্তানে রূপান্তরিত হবে। আমরা অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংসদীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানবিরোধী সুপারিশ প্রত্যাহার এবং এ ধরনের নিন্দনীয় আচরণের জন্য তাদের দুঃখ প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই ধরনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিও বিশেষভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিদাতা:
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলামরাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ডাঃ কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন(অবঃ) আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক, ক্যাপ্টেন (অবঃ) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরননবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিনচৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ,শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদামজিদ, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গাফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক জাতীয় ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দনশীল, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, এডভোকেট দীপক ঘোষ, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদ সন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদ সন্তান শমী কায়সার, শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদ সন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, এডভোকেট আবদুল মালেক, সাংবাদিক দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, লেখকও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি প্রমুখ।
Next Post

বেশী আম খেলে কি কোনো সমস্যা হয়?

যেকোনো কিছুই বেশি খাওয়া খারাপ। একই ধরনের খাবার এক নাগাড়ে বেশি খাওয়ার অর্থ হচ্ছে— আপনার শরীর বারে বারে একই ধরনের খাদ্য উপাদান পাচ্ছে এবং একইসাথে অনেক ধরনের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান পাচ্ছে না। এজন্য খাবার খেতে হবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। একই ধরনের ফল বেশি খাওয়া যাবে না, একবারে বেশি খাওয়া যাবে না। […]
আম

এগুলো পড়তে পারেন