সুমন জাহিদের আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

সুমন

প্রাণতোষ তালুকদার, ঢাকা

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের পুত্র সুমন জাহিদের আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সংগঠনের এক শোকবার্তায় বলা হয়—

“মুক্তিযুদ্ধে শহীদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের পুত্র ব্যাংকার সুমন জাহিদের আকস্মিক মৃত্যু সংবাদে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি স্তম্ভিত এবং অত্যন্ত শোকাহত। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তানদের সংগঠন ‘প্রজন্ম ’৭১’-এর একজন একনিষ্ঠ সংগঠক, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনালের অন্যতম সাক্ষী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সাহসী সৈনিক সুমন জাহিদের অকাল মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না নির্মূল কমিটির সদস্যরা।”

সংবাদে আরও বলা হয়েছে- “কমলাপুরের কাছে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে সুমনের মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি নিছক দুর্ঘটনা না পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তের দাবি জানাচ্ছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। নির্মূল কমিটির সকল সদস্য সুমন জাহিদের অসহায় পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য, সুহৃদ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছে।

শৈশবে মাকে হারিয়ে সুমন অত্যন্ত দুঃখ-কষ্টের ভেতর নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সুমনের অকাল মৃত্যুতে তার অসহায় স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছে।”

স্বাক্ষরদাতা—
বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক অজয় রায়, কর্ণেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, সাংবাদিক কামাল লোহানী, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, স্থপতি রবিউল হুসাইন, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন শিহাবউদ্দিন বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, সাংবাদিক চলচ্চিত্রনির্মাতা শামীম আখতার, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, সমাজকর্মী খোন্দকার আবদুল মালেক শহীদুল্লাহ, ড. ফরিদা মজিদ, সমাজকর্মী আরমা দত্ত, এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, সমাজকর্মী আক্কাস হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, সাংবাদিক ফজলুর রহমান, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সমাজকর্মী সরদার জাকির হোসেন খসরু, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, মানবাধিকারকর্মী শান্তি দাস, অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়–য়া, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট দীপক ঘোষ, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, ডাঃ মামুন আল মাহতাব, ডাঃ মোহাম্মদ মুরাদ হাসান, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদউল্লা, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সমাজকর্মী মোঃ আমিনুর জামান রিংকু, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল প্রমুখ।