
কেস স্টাডি-১ : দিপ(ছদ্মনাম) রাত আটটা থেকে বুকের বাম পাশে ব্যাথা অনুভব করতে শুরু করে। প্রথমে গ্যাসের ব্যথা ভেবে অমিপ্রাজল জাতীয় ওষুধ খেয়ে ব্যাথা কমার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। রাত এগারটাঅব্দি ব্যাথা না কমায় সে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার সিধান্ত নেয়। ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগ থেকে তাকে নতুন ভবনের ছয় তালায় পাঠানো হয়। দুইজন ইন্তারনি ডাক্তার বিস্তর রোগী সামলাতে ব্যস্ত ছিলেন সেখানে। এক ফাঁকে সমস্যার কথা শুনে ইসিজি করতে পাঠালেন।

ইসিজি তে কোন সমস্যা না থাকায় উক্ত ইন্টার্ন ডাক্তার কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে বিশ্রামে থাকতে বললেন।

যেহেতু ব্যাথা সারছেনা তাই জাতীয় হৃদরোগ ইন্সিটিউেট গিয়ে আবার দেখানোর সিধান্ত নিলেন দিপ। ঢাকা মেডিকেলের সামনে থেকে অস্বাভাবিক ভাড়ায় একটি সিএনজি অটো রিকশা নিয়ে শ্যামলী যাওয়া হল। প্রথমেই ইসিজি করতে বলল। দিপ বলল, ইসিজি এই মাত্র করা হয়েছে। কাজ হল না। আবার ইসিজি করতে হল।

ডাক্তার মহোদয় ইসিজি পরীক্ষা করে বললেন, কিছু সমস্যা আছে, আরও কিছু পরীক্ষা লাগবে। দিপ বললা, লিখে দেন। সাধারণত যে টিকিটে প্রেস্ক্রিসান লেখেন তাতে না লিখে আলাদা দুটি কাগজে টেস্ট লিখে দিলেন ডাক্তার। তখনই টেস্ট করিয়ে নিয়ে আসতে হবে। রাত বারোটায় সুবিধাটা পাওয়া যাবে হসপিটাল থাকে অনতিদূরে একমাত্র মুন প্যাথলজিতে। খরচ হবে পঁয়ত্রিশশো টাকা। ওখানে গিয়ে ডাক্তার সাহেবকে ফোন ধরিয়ে দিলে কিছু কম নেবে বলে তিনি জানালেন।


উপরের কেস স্টাডির আলোকে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলো তৈরি হয় :
১। এ ধরণের কোন টেস্ট দেওয়ার কোন প্রয়োজন থাকলে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে কেন দেওয়া হল না?
২। ঢাকা মেডিকেল থেকে বলা হল ইসিজি একেবারেই নরমাল, কিন্তু হৃদরোগ ইন্সিটিউট থেকে বলা হল ইসিজি এবনরমাল। কীভাবে এটা হল? রিপোর্ট কি বলে?


৩। যেহেতু এটা হৃদরোগ ইন্সিটিউট, তাহলে যাবতীয় পরীক্ষার সকল সরঞ্জাম সেখানে কেন থাকবে না? বাইরে যেতে হবে কেন?
৪। ডাক্তার মূল প্রেসক্রিপশনে সাজেসন না লিখে আলাদা কাগজে লিখলেন কেন?
৫। যে ইনজেকশনটি এক্ষেত্রে তিনি লিখেলেন সেটি-ই বা কতটা যুক্তিসঙ্গত, অথবা ঐ ইনজেকশনটি দিয়ে-ই চিকিৎসা শেষ করা যেত কিনা?
৬। ঢাকা মেডিকেলের ইন্টার্ন ডাক্তার যে ওষুধগুলো লিখলেন সে বিষয়েই বা কি বলা যায়?
-চলবে