অদ্ভুত যে ভুলগুলো সচারচর আমরা করে থাকি

জীবনে চলার পথে ভুল আমাদের হয়ই, তবে কিছু ভুল এমনই যা চাইলেই এড়ানো যায়, আসলে এগুলো আমরা ভুল হিসেবেই সণাক্ত করি না, কিন্তু আসলে সেগুলো মস্ত ভুল।

১. ধরুণ, হঠাৎ করে বন্ধুর অফিশে গেলেন, আপনি তার অফিশে গিয়েছেন এমনিই, কিন্তু আপনি সেটি না বলে বললেন, এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম, তাই আসলাম, এতে কিন্তু বন্ধু অখুশি হবে, ভাববে- ও! এদিক দিয়ে যাচ্ছিলে বলে আসা হয়েছে। কিন্তু আপনি যদি বলতেন- ভাল লাগছিল না, তাই তোর কাছে আসলাম। এটাই তো সত্যি, কিন্তু সত্যি কথাটা না বলে আপনি ইগো ধরতে গেলেন। তাতে কি আসলে লাভ হল? কষ্ট করে গেলেন, কিন্তু ভুল চিন্তার কারণে বন্ধুকে খুশি করতে পারলেন না, নিজেও খুশি হতে পারলেন না।

২. ধরুণ, কেউ আপনার বাসায় বা অফিশে বা অন্য কোথাও আপনার সাথে দেখা করতে এসেছে। আপনি তাকে ঠিকানা বলে নির্দিষ্ট জায়গায় অপেক্ষা করছেন, যেখানে এসে তার পৌঁছানোর কথা। সে খুঁজে পাচ্ছে না। আপনাকে বারে বারে ফোন করছে, কিন্তু আপনি আপনার তালমত বলছেন, চমৎকার করে তাকে বুঝিয়ে বলছেন না, বা তাকে এগিয়ে আনছেন না। সমস্যা হচ্ছে- দীর্ঘদিন ধরে আপনি যে এলাকায় আছেন, সেটি আপনি যেভাবে চেনেন, নতুন একজন সেভাবে চিনবে না। আপনি কোথাও প্রথম গেলে কি অবস্থা হয়, সেটি মনে করার চেষ্টা করুণ। তাহলে বুঝতে পারবেন।

৩. আপনার কোনো বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছ থেকে সাহায্য দরকার, এক্ষেত্রে স্পষ্ট করে আপনার প্রয়োজনের কথা বলতে হবে, প্রায়শই আমরা স্পষ্ট করে বলি না, ভাবি কেন সে বুঝে নিচ্ছে না। এটা সঠিক আচরণ না, প্রয়োজনের কথা স্পষ্ট করে বলতে হবে। এবং স্পষ্ট করে শুনতে হবে- সে ঐ সাহায্যটুকু করতে পারবে কিনা। কাউকে সাহায্য করার ক্ষেত্রেও আচরণ সুনিদিষ্ট হতে হবে, কিছু করতে না পারলে স্পষ্ট করে বলতে হবে, যাতে সে পথ চেয়ে না থাকে।

৪. বেশিরভাগ সময় অভ্যাগতের কাছে আমরা বড় সাজতে যাই, এতে অনেক ঝামেলা বাড়ে। একই রকম থাকা ভাল। সবখানে একই রকম থাকতে পারলে জীবন সহজ থাকে।

৫. আমরা অনেক সময় পরিবারকে পাত্তা দিতে চাই না, ভাবি- সবাই তো নিজের, তাদের কাছে ইমেজের কোনো ব্যাপার নেই। এটা ঠিক না। স্ত্রী, মা, ভাই-বোন, প্রত্যেকের কাছে ইমেজের বিষয় আছে। কৃত্রিমতা দরকার নেই, তবে পরিবারের সদস্যদের পাত্তা না দেওয়ার মনোভাব থেকে আচরণ নিজের অজান্তেই খসড়া হতে শুরু করে, সতর্ক না থাকলে নিজের অজান্তেই প্রাতকর্ম থেকে শুরু করে পারিবারীক অন্যান্য বিষয়গুলোতে অভব্য আচরনে আপনি অভ্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন। মনে রাখবেন- আপনজনের কাছে নিজের ইমেজ ধরে রাখা সবচে’ কঠিন এবং সর্বাধিক দরকারী।


দিব্যেন্দু দ্বীপ