জীবনকে সহজ করবেন যেভাবে

১. গ্রহণ করার পাশাপাশি আপনাকে এভয়েড করাও শিখতে হবে। এই কাজ কোনদিন আমি পারি না, কাউকে এভয়েড করতে পারি না, এজন্য খুবই পস্তাতে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে– কাকে বা কাদের এভয়েড করবেন।

প্রথমত এভয়েড করবেন সেইসব সক্ষম মানুষদের, যারা আপনাকে অক্ষম ভাবে, এবং একইসাথে তারা মনে করে যে তাদের কাছে গিয়ে আপনি ধন্য। কোনো না কোনোভাবে তারা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে তারা আপনার চেয়ে উৎকৃষ্ট।

জাস্ট এভয়েড দেম। সেই সময়টা বরং খুব সাধারণ মানুষের সাথে কাটান। শিশুদের সাথে কাটান। পথের কোনো কুকুরকে মুড়ি খাইয়ে কাটান।

২. দেখবেন, এরকম অনেকে আছেন, যারা আপনাকে দাওয়াত দিয়ে ধন্য করতে চাইবে। কোনোমতে দায়সারাভাবে দাওয়াত দিল, বন্ধু বলে আপনি মেনে নিলেন, খুব ঝামেলা করে গেলেনও। হবে কী জানেন?

উৎকৃষ্ট ঐ বন্ধু আপনার কাছে এসে কয়েক মিনিট ব্যয় করার সুযোগ পাবে না হয়ত। খাওয়ার সময় একবার এসে খোঁজ নেবে না। অর্থাৎ এরকম ক্ষেত্রগুলো এভয়েড করুন। আপনি কাঙ্ক্ষিত কিনা ভেবে দেখুন।

৩. আমরা অনেকেই রুই কাতলা দেখলে গলে পড়ি, ভাবি তাদের সামনে একটু দর্শন দেওয়া প্রয়োজন। যদি কখনো কাজে লাগে! এটা একটা মোহ ছাড়া কিছু নয়। ওদের কখনই কাজে লাগে না।

ওরা আসলে নিয়ে নিয়েই বড় হয়েছে। দেয়ার অভ্যেস ওদের নেই। আবার ওদেরকে সাহায্য করারও কিছু নেই। বিপদে পড়ে এগিয়ে আসে সাধারণ মানুষ, এগিয়ে আসে তারাই যাদের আপনি পাত্তা দেননি কোনোদিন! তাই উপরের (মননশীলতার দিক থেকে যারা নিকৃষ্ট) লোকগুলোকে যথাসম্ভব এভয়েড করুন।

এবার আসি কিছু কাজ এভয়েড করার বিষয়ে—
১. শপিংয়ের কাজটা আলাদাভাবে না করে যথাসম্ভব আসা যাওয়ার পথে সারলে ঢাকা শহরে সুবিধা পাবেন। মারাত্মক জ্যাম ঠেলে শপিং করতে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। বাসার পাশের মার্কেট থেকে শপিং সারুন। বুঝে কিনতে পারলে ওখান থেকেও ভালো জিনিস কেনা যায়। পুরোন ঢাকায় বাসা হলে সদরঘাট অথবা রাজধানী মার্কেটে শপিং সারুন। মিরপুর হলে মিরপুরে, এরকম।

২. কর্মস্থলের পাশেই বাসা নিন, এতে প্রচুর সময়, শ্রম এবং অর্থ বাঁচবে।

৩. হাতে টাকা থাকলে অপচনশীল জিনিসগুলো একবারে কিনে রাখতে পারেন। যেমন, সাবান, লবণ ইত্যাদি। এতেও প্রচুর সময় বাঁচবে।

৪. ‘না’ বলা শিখতে হবে। ‘হঁ্যা’ বলে কথা রাখতে না পারার চেয়ে না বলা ভালো, তাতে বরং সম্পর্ক বাঁচে। তবে ‘না’ বলতে হবে অনেক ভেবেচিন্তে, কারণ, যাকে ‘না’ বলছেন সে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন হচ্ছে।


দিব্যেন্দু দ্বীপ