যৌনতা একটা চাহিদা, কিন্তু সেটা হল পশুর কাছে। যৌনতায় ভালোবাসা না থাকলে, সেটা শুধুমাত্রই পশু প্রবৃত্তি। মানবজাতি নিজেকে পশুর থেকে আলাদা বলতে চাইলে, যৌনতাকে চাহিদা না, উপযুক্ত সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে ব্যাক্তিজীবনে ও সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে দেখাক।
বাসার পাশের কুকুর পরিবারের বাবা কুকুরটা সেদিন দেখলাম মা কুকুরকে ছেড়ে আরেকজনের সাথে জুটি বেধেছে। আগের বাচ্চারা বড় হয়নি, তাই মা কুকুর এই বছর এই বিশেষ সময়ে তাকে কাছে আসতে দেয়নি। বাবা কুকুর তার যৌন চাহিদার তাগিদে বিকল্প সঙ্গী বেছে নিয়েছে।
মানুষের সাথে দেখি ভালোই মিল এই পশুদের! শুধু শরীরের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য সঙ্গী খোঁজা, এ তো মানুষের মধ্যেও দেখি অহরহ। তবে স্বীকার করতেই হবে, মানুষ কয়েক ডিগ্রি উপরে, যৌনতাকে বিকৃত করতে করতে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে ওরাল, এনাল, থ্রিসাম ইত্যাদির মত জঘন্য, কুরুচিপূর্ণ, অস্বাস্থ্যকর, ক্ষতিকর কাজগুলো বিভিন্ন স্টাইলে বিভিন্নভাবে করে, অন্যকে করতে দেখে ও সবাইকে দেখিয়ে তৃপ্তি পায়!
মানুষ উন্নত প্রজাতির পশু, তাই কি অন্যান্য আবেগের মত যৌন আবেগের তীব্রতা অন্যান্য পশুদের চেয়ে মানুষের বেশি? যৌন বিকৃতির কারনও কি এইটা? মানুষ উন্নততর প্রাণী হলে সেটা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও মানুষের সবার চেয়ে বেশি হওয়ার কথা। ট্রেনিং দিয়ে কুকুরকেও যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণ শেখানো যায়, মানুষ নিজেকে শেখাতে পারে না?
যৌনতা একটা চাহিদা, কিন্তু সেটা হল পশুর কাছে। যৌনতায় ভালোবাসা না থাকলে, সেটা শুধুমাত্রই পশু প্রবৃত্তি। মানবজাতি নিজেকে পশুর থেকে আলাদা বলতে চাইলে, যৌনতাকে চাহিদা না, উপযুক্ত সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে ব্যাক্তিজীবনে ও সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে দেখাক।