একদম রতনে রতন মিলেছে।
# বাড়িআলা: আপনি কী করেন?
* হবু ভাড়াটিয়া: কিছু করি না আপাতত।
# বাআ: তাহলে এত টাকা দিয়ে বাসা নিচ্ছেন?
* হভা: তিন মাসের সংস্থান আছে, এর পরেরটা পরে দেখা যাবে। ছোট বাসায় থেকে হয় ন। নিজের একটা রুম দরকার। বউয়ের সাথে রুম শেয়ার করতে ভালো লাগে না। মা’এর আলাদা রুম দরকার। গেস্ট আসলে থাকবে কই?
# বাআ: ঠিক আছে, কিন্তু আপনার তো ইনকাম নেই!
* হভা: ইনকাম নেই তো কী হইছে? ইনকাম হবে… অসুবিধা কী? ঠিক আছে, আপনাকে তিন মাসের অগ্রীম দিচ্ছি। অতো আলোচনা দরকার নেই।
# বাআ: এরকম ভাড়াটিয়া আমি জীবনে পাই নাই।
* হভা: ১৯৫৩ সালের আগে কেউ এভারেস্টে ওঠে নাই।
# বাআ: বুঝলাম না।
* হভা: বোঝার দরকার নেই। বাসাটা দিলে কন, তিন মাসের এডভান্স করে যাই।
[বাড়িআলা অনেকক্ষণ চিন্তা করে…]
# বাআ: ঠিক আছে বাসায় ওঠেন, দেখা যাক …
[তিন মাসের টাকা একবারে দিয়ে দিলাম।]
# বাআ: এত টাকা দিচ্ছেন কেন, এখন কিছু দেন, ওঠার সময় বাকীটা দিয়েন।
* হভা: সবটাই রাখেন। সমস্যা নেই। আমার কাছে থাকলে খরচ হয়ে যেতে পারে।
# কোন ডিডস লাগবে না?
* হভা: আমার পক্ষ থেকে লাগবে না। আপনার লাগলে পরে বানায়ে আমার সই নিযেন।
# বাআ: ওকে।
* ওকে। সামনের মাসে উঠতেছি।
[ইতিমধ্যে মিসেস বাড়িআলা চা পুরি নিয়ে এসেছে। চোখ গোল্লা গোল্লা করে আমারে দেখতাছে। কয়, ওঠেন, সমস্যা নেই, ভাড়া না দিলে না দিয়েন, সম্পর্কটাই আসল কথা। বাড়িআলা সায় দিয়ে কয়, হ, ভাড়া টাড়া কোনো ব্যাপার না। ওঠেন আপনি। এই দেখেন না, এই বছর আমি সাতচল্লিশ লাখ টাকা লস করছি। বছর দুই আগে পরিবারসহ আমেরিকা ছেড়ে চলে আসছি। মাসে দেড় লাখ ডলার বেতন ছিল, ছাইড়ে দিয়ে আসছি। কী হইছে তাতে, জীবনে লস বলে কিছু নেই। জীবনের সবই লাভ, যদি লাভ ভাবা যায়। আপনি ওঠেন। বেস্ট অফ লাক।]