মানুষের মাথায় অজস্র ব্যাকটেরিয়ার বসবাস। আর এই জীবাণুগুলো নিজেদের মধ্যে মারামারিতে ব্যস্ত। বিরক্তিকর খুশকি হয়তো এই লড়াইয়েরই পরিণাম। চীনের একদল গবেষক এ কথা জানিয়েছেন।
সাংহাই জিয়াও তং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণা প্রতিবেদন সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, খুশকির সমস্যার জন্য এত দিন ছত্রাককে দায়ী করা হতো। তবে নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ‘প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম’ এবং ‘স্ট্যাফাইলোকক্কাস’ নামের ব্যাকটেরিয়ার দুটি প্রজাতি মানুষের মাথায় খুশকি তৈরিতে ভূমিকা রাখে। মাথার ত্বকে এ দুটি জীবাণুর উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। মাথার বিভিন্ন অংশের দখল রাখতে এরা পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করে। মাথায় জীবাণুগুলোর অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে খুশকি কম-বেশি হওয়ার একটা সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের মাথার ত্বকে স্ট্যাফাইলোকক্কাস-এর সংখ্যা কমলে এবং প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম-এর উপস্থিতি বাড়লে খুশকির মাত্রা কমে।
খুশকির নিরাময় বের করার লক্ষ্যে পরিচালিত ওই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন সাংহাই জিয়াও তং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ঝিজুয়ে শু। তিনি বলেন, শত শত বছর ধরে মানুষ খুশকির সমস্যায় ভুগছে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের মাথায় খুশকি হয়। খুশকি মূলত সৃষ্টি হয় মাথার খুলির ত্বকের শুকনো আবরণ এবং চর্বি থেকে নির্গত একধরনের রসের সমন্বয়ে। কৈশোর ও তারুণ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষ কিছু শ্যাম্পু ব্যবহার করে এবং জীবনযাপনের ধরন পাল্টে খুশকি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও এর স্থায়ী সমাধান এখনো বেরোয়নি।