যেখান থেকে পরিচালিত হয় সমগ্র ইন্টারনেট

follow-upnews
0 0

1

1

গুগলে কোনো বিষয় সার্চ করলে আপনার সামনে অসংখ্য ফলাফল চলে আসে, যা থেকে আপনি তথ্যের চাহিদা মেটানো, বিনোদন, সংবাদ কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুর খবর সংগ্রহ করেন। মুহূর্তেই এ কাজটি সম্পন্ন হওয়ায় আপনি বুঝতেও পারবেন না, কতো হাজার মাইল ঘুরে আপনার চোখের সামনে এল তথ্যগুলো। এসব তথ্যই চোখের পলকে সরাবরাহ করার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইন্টারনেটের অবকাঠামো। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ‘ক্যারিয়ার হোটেল’-এর ভেতর প্রবেশ করেছিলেন পিটার গ্যারিট্যানো। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ওইয়ার্ড।

‘ক্যারিয়ার হোটেল’গুলো মূলত ডেটা সেন্টার, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে ইন্টারনেট সচল রাখে। পরিদর্শন শেষে তিনি জানিয়েছেন সেখানকার ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে।

সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় বড় বড় সার্ভারের। এছাড়া রয়েছে নানা নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম। এ ধরনের বহু সরঞ্জাম একত্রে রাখা হয় কোলোকেশন সেন্টারে। এগুলো এক ধরনের ডেটা সেন্টার, যাকে কখনো কখনো ক্যারিয়ার হোটেলও বলা হয়। এসব অবকাঠামোর বিস্তারিত নিরাপত্তার জন্য সাধারণত প্রকাশ করা হয় না। এগুলোর মধ্যে অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটি নিউ ইয়র্কে অবস্থিত।
ক্যারিয়ার হোটেল নামে নিউ ইয়র্কের ইন্টারনেট ডেটা সেন্টারের অভ্যন্তরে রয়েছে বিশাল সব সার্ভার, বহু নেটওয়ার্ক হাব ও অসংখ্য তারের জঙ্গল। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত জেনারেটর রয়েছে এখানে। এছাড়া ডেটা সেন্টার ঠাণ্ডা করার জন্য রয়েছে বিশাল কুলিং সিস্টেম।

নিউ ইয়র্কের এ ডেটা সেন্টার বা ক্যারিয়ার হোটেলে এটিঅ্যান্ডটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে ভ্যারাইজন নেটওয়ার্কের সংযোগ সাধিত হয়েছে। এছাড়া গুগলের সঙ্গেও তাদের সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভির প্রোভাইডারের আওতায় থাকা গ্রাহকরা যখন গুগলে কোনো বিষয় সার্চ করে তখন তা এ ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে গুগলের সার্ভার থেকে তথ্যগুলো পেয়ে যায় চোখের নিমিষে।

বিভিন্ন ইন্টারনেটনির্ভর প্রতিষ্ঠান এ ডেটা সেন্টারে তাদের সার্ভার স্থাপন করতে পারে। আর এতে তারা ওয়েবসাইট ও তথ্য ইন্টারনেটে প্রদর্শন করতে পারে।
নিউ ইয়র্কে মোট পাঁচটি ক্যারিয়ার হোটেল বা ইন্টারনেট ডেটা সেন্টার রয়েছে। এগুলোর কার্যক্রম এতটাই গোপন যে তাদের অধিকাংশ নিজেদের নামও প্রকাশ করতে চায় না। তাদের মধ্যে দুটির নাম টেলএক্স ও জ্যায়ো। এদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।

Next Post

‘প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম’ এবং ‘স্ট্যাফাইলোকক্কাস’ নামের ব্যাকটেরিয়ার দুটি প্রজাতি মানুষের মাথায় খুশকি তৈরিতে ভূমিকা রাখে

মানুষের মাথায় অজস্র ব্যাকটেরিয়ার বসবাস। আর এই জীবাণুগুলো নিজেদের মধ্যে মারামারিতে ব্যস্ত। বিরক্তিকর খুশকি হয়তো এই লড়াইয়েরই পরিণাম। চীনের একদল গবেষক এ কথা জানিয়েছেন। সাংহাই জিয়াও তং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণা প্রতিবেদন সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, খুশকির সমস্যার জন্য এত দিন ছত্রাককে দায়ী করা হতো। তবে নতুন […]