সারাদেশে সর্দিজ্বরে-শ্বাসকষ্টে মানুষ মারা যেতে শুরু করেছে। যেহেতু করোনার পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না, তাই কে করোনায় মারা যাচ্ছে —সে কথা বলাও সম্ভব হচ্ছে না। টেস্ট করার সুযোগ না থাকলে করোনায় মারা যাবে কেমনে?
কিচ্ছু করার থাকবে না। কারো দিকে কেউ ফিরেও তাকাবে না। কে কাকে চিকিৎসা দেবে? কীভাবে দেবে? –এরকম একটি অবস্থার দিকেই কি যাচ্ছি আমরা? এখনই অফিশ-আদালত সব বন্ধ করে দেওয়া দরকার। কেন আমরা আগুন লাগার অপেক্ষায় আছি? ভাবটা এমন— আমরা পানির কলসি নিয়ে রেডি আছি। আসলে তাতো নয়, রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার –করোনার ক্ষেত্রে কোনো সামার্থই এই মুহূর্তে আমাদের নেই। তাই বলে কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়ার সামার্থও কি আমাদের নেই?
শুধু প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে নজরদারী চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, সেবা দেওয়া তো সম্ভব নয়ই। এজন্য প্রয়োজন আপৎকালীন স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী। এলাকাভিত্তিকভাবে এই কাজটি করা যেতে পারে। এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রধান কাজ হবে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছে কিনা খোঁজখবর করা, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাকে কোয়ারেনটিন ও আইসোলেট করা, তার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা। কারো মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে তার টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করা। করোনার চিকিৎসার জন্য একটি অস্থায়ী হাসপাতাল টাইপের কিছু গড়ে তোলা। দুঃস্থদের (যারা নির্দিষ্ট এলাকায় দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে জীবীকা নির্বাহ করে) জন্য একটি ফান্ড গঠন করা।
করোনা সমস্যার সমাধান রাতারাতি হয়ে যাবে বলে মনে হয় না। তাই এখনই কাছা দিয়ে নামা দরকার। দেরি করার মানে হচ্ছে বৈশ্বিক মৃত্যুর মিছিলে অগ্রগামী হয়ে শামিল হওয়া।