ভাইরাস কী? ভাইরাস কি হাঁটতে বা দৌড়াতে পারে?

follow-upnews
0 0

ভাইরাস জীব না জড় —তা নিয়েই এক সময় বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বীমত ছিল। তবে যেহেতু ভাইরাস পোষক (যে প্রাণী/উদ্ভিদকে আক্রান্ত করে) দেহে বংশবৃদ্ধি করে, তাই ভাইরাস জীব। ভাইরাস ল্যাটিন ভাষা হতে গৃহীত একটি শব্দ। এর অর্থ হল বিষ। বর্তমান কালে ভাইরাস বলতে এক প্রকার অতি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুকে বোঝায় —ভাইরাস একটি পরিপূর্ণ কোষ নয়, ডিএনএ/আরএনএ এবং নিউক্লিক এসিড দিয়ে তৈরি একটি প্রোটিন কণা, যা উদ্ভিদ ও প্রাণীর অনেক রোগ সৃষ্টির কারণ। 

পোষক দেহের বাইরে ভাইরাস জড় পদার্থের ন্যায় আচরণ করে, অর্থাৎ পোষক দেহ না পেলে ভাইরাস স্থান পরিবর্তন করতে পারে না।

ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য

ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যসমূহকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়; যথা—
(ক) জড়-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য এবং
(খ) জীবীয় বৈশিষ্ট্য।

(ক) ভাইরাসের জড়-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য:
১। ভাইরাস অকোষীয় (কোষ নয়, অর্থাৎ একটি কোষের সকল বৈশিষ্ট নেই)। এদের সাইটোপ্লাজম, কোষঝিল্লি, কোষপ্রাচীর, রাইবোসোম, মাইটোকন্ড্রিয়া এসব নেই।
২। এদের নিজস্ব কোনো বিপাকীয় এনজাইম নেই এবং খাদ্য গ্রহণ করে না ফলে পুষ্টি ক্রিয়াও নেই।
৩। ভাইরাস জীবকোষের সাহায্য ছাড়া স্বাধীনভাবে প্রজননক্ষম নয়।
৪। ব্যাকটেরিয়ারোধক ফিল্টারে ভাইরাস ফিল্টারযোগ্য নয়।
৫। জীবকোষের বাইরে ভাইরাস রাসায়নিক কণার মতো নিষ্ক্রিয়।
৬। ভাইরাসের দৈহিক বৃদ্ধি নেই এবং পরিবেশের উদ্দীপনায় সাড়া দেয় না।
৭। ভাইরাস রাসায়নিকভাবে প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিডের সমাহার মাত্র।

(খ) ভাইরাসের জীবীয় বৈশিষ্ট্য:
১। পোষক কোষের অভ্যন্তরে ভাইরাস সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে।
২। নতুন সৃষ্ট ভাইরাসে মাতৃ ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে, অর্থাৎ একটি ভাইরাস তার অনুরূপ ভাইরাস জন্ম দিতে পারে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, র‌্যাভিস ভাইরাস, এইসআইভি ভাইরাসের মতো করোনাও এক প্রকার ভাইরাস, যেটি শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুস আক্রান্ত করে।

করোনা ভাইরাস

ভাইরাস অনেক প্রকার হতে পারে। করোনা ভাইরাস এমনই সদ্য প্রকাশিত এক প্রকার ভাইরাস, যেটিকে বলা হচ্ছে কোভিড-১৯ ভাইরাস।

কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?

শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

আমাদের কি মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত?

করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।

Next Post

এই ছবিটা একটা দেশ কীভাবে চলছে তার সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি

খবরটা হচ্ছে— করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। অনেকেই জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন।এমন দুই বৃদ্ধ ভ্যানচালককে কানধরে উঠবস করিয়েছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) সাইয়েমা হাসান। ছবি তুলেই তিনি ক্ষান্ত হননি সেই ছবি আবার টানিয়ে দিয়েছেন এসিল্যান্ডের […]
এসিল্যান্ড

এগুলো পড়তে পারেন