বাফুফের বক্তব্যের মধ্যেই অবহেলার বিষয়ে পরোক্ষ স্বীকারোক্তি রয়েছে, কিন্তু দায় নেওয়ার মানুসিকতা নেই।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নেওয়া বাংলাদেশের কিশোরী ফুটবলারদের লোকাল বাস যাত্রা এবং যাত্রাপথের বিড়ম্বনার খবর প্রকাশের পর গণমাধ্যমে এবং অনলাইনে সমালোচনার মুখে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাফুফে জানিয়েছে, “অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করেছিল বাফুফে, কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করায় এসি গাড়ি চড়তে তারা রাজি হয়নি। পরে বাফুফে তাদের জন্য ভালো মানের একটি বাসের ব্যবস্থা করেছিল কিন্তু তারা লোকাল বাসে করে নিজ নিজ এলাকায় পৌছার আগ্রহ দেখানোয় বাফুফে সেটা মেনে নেয়।” এসি বাসে কারো সমস্যা থাকতে পারে, তাই বলে একটা ভালো মানের বাসের ব্যবস্থা করলে সেটি না নিয়ে মেয়েরা লোকাল বাস চাইবে এটি সহজে কেউ বিশ্বাস করছে না। এক্ষেত্রে মেয়েদের বক্তব্য জানলে পরিষ্কার হওয়া যেত। বিবৃতিতে বাফুফে আরো জানায়, “মেয়েদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলের উদ্বেগ আমরা গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি এবং আগামীতে ছেলে ও মেয়ে উভয় দলের খেলোয়াড়দের যাতায়াতের ব্যাপারে আরও মনোযোগী হব”। বাফুফের বক্তব্যের মধ্যে পরস্পর বিরোধিতা আছে। একবার তারা বলছে, তারা মেয়েদের যাত্রায় কোনো অবহেলা করেনি, একইসাথে বলছে, ভবিষ্যতে ছেলে ও মেয়ে উভয় দেলের খেলোয়াড়দের ব্যাপারে অধিক মনোযোগী হবে। বাফুফের বক্তব্যের মধ্যেই অবহেলার বিষয়ে পরোক্ষ স্বীকারোক্তি রয়েছে, কিন্তু দায় নেওয়ার মানুসিকতা নেই। মেয়েদের খেলাধুলা নিয়ে সমাজে একটি শ্রেণির মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, সেক্ষেত্রে এ ধরনের অবহেলায় আমাদের সন্দিগ্ধ হতে হয়, অবহেলা অনিচ্ছকৃত নাকি বাফুফেতেও মেয়েদের খেলাধুলা নিয়ে নেতিবাচক ধারনা পোষণ করা লোকজনই বেশি। বিষয়টি দ্বারা এটা স্পষ্ট হয়েছে যে কতটা প্রতিকূলতা জয় করে মেয়েদের এ পর্যন্ত আসতে হয়েছে।