শেখ মনিরুল ইসলাম, ৯ বছর বয়সে ওনার পিতা মারা যান, কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধাকালীন পাকিস্তানী বাহিনী ২৪ এপ্রিল বাগেরহাটে প্রবেশ করার পথে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে, শেখ মনিরুল ইসলামের পিতা তেমনই একজন। এরপর শেখ মনিরুল ইসলামের মা পাঁচ সন্তান নিয়ে পড়েন দুর্বিষহ অবস্থায়, তখনও তিনি সন্তান সম্ভবা, স্বামী মারা যাওয়ার পর এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
এভাবেও নির্যাতনের শেষ হয়নি, এরপরও তারা নির্যাতিত হয়েছেন, কখনও স্থানীয় রাজাকারদের দ্বারা, কখনও নিজের চাচাত ভাইদের দ্বারা, সম্পত্তি বেদখল হয়েছে, অপমান অপদস্থ করা হয়েছে।
১৯৮৭ সালে মনিরুল ইসলামরা স্বপরিবারে বোম্বে চলে যান, সেখানে কাজকর্ম, ব্যবসা বাণিজ্য করে দাঁড়িয়েও যান। একজন মাড়োয়াড়ি ব্যবসায়ী ওনাদের সহযোগিতা করেন, কিন্তু তারপর ঘটে আবার বিপর্যয়, ১৯৯৬ সালে সীমান্তে বিডিআর বিএসএফ সংঘর্ষে বিএসএফ এর অনেক জয়ান মারা গেলে ভারত থেকে বাঙালি মুসলমানদের পুসব্যাক করা হতে থাকে, এ প্রেক্ষাপটে মনিরুল ইসলামদেরও পুসব্যাক করা হয়।
বাড়িতে ফিরে আবার তারা পড়ে যান অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের মধ্যে। স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে পিতা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, দেশের কুলাঙ্গার রাজাকারদের অত্যাচারে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, আবার সেখানেও তাদের কোনো স্বীকৃতি মেলেনি! এ শোকগাঁথা স্বীকার করতে না পারলে, তাদের পাশে দাঁড়াতে না পারলে বাংলাদেশ কোনোদিনও বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারেব না, কারণ, মণিরুল ইসলাম একা নন, এরকম উদাহরণ লক্ষ লক্ষ …
https://youtu.be/VjzXjAZS1SA?t=315