জলিল ওরফে সন্ত্রাসী জইল্লা সরদারের তাণ্ডবে এলাকাবাসী অতিষ্ট

follow-upnews
0 0

বরিশাল জেলার পশ্চিম চাখার লাগোয়া এবং দক্ষিণে বাকপুর ইউনিয়নের পাশাপাশি চাখার ইউনিয়নের বড় চাউলাকাঠী গ্রামের ১নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা জলিল ওরফে সন্ত্রাসী জইল্লা সরদারের বাড়ি। তার পিতার নাম মৃত রফিজদ্দিন সরদার।
আমি ওই এলাকার বাসিন্দা মো: আবুল হোসেন, ৭৮নং গোয়াইল বাড়ি খতিয়ানের দাগ নম্বর-৮৫৮র পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে ও ক্রয়সূত্রে নামজারি জমাখারিজ মূলে .০৩৯৩ শতাংশ জমির মালিক আমি নিজে। সেই জমি থেকে জলিলের বোন আলেয়া বেগমের বড় ছেলে মাসুমের কাছে সাফকবলা দলিল মূলে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করি।
ওই জমি মাসুম গংদের দখলে এবং তারা ঘরবাড়ি করে বসবাস করছেন। ইতোমধ্যে জইল্লা সন্ত্রাসীর প্রভাব খাটিয়ে মোঃ আবুল হোসেনের ৭৮নং গোয়াইল বাড়ি খতিয়ানের অন্য একটি দাগের দাগ নম্বর-৯১৮র .০৪৭০ শতাংশ জমির গাছপালা জইল্লা সন্ত্রাসী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে নিয়ে আলেয়া বেগম অবৈধভাবে কেটে নেয়ার অপচেষ্টা চালায়।
এই জমির বর্তমান মালিক আমি মোঃ আবুল হোসেন। আমরা দাদা-বাবার আমল থেকে বংশ পরম্পরায় অদ্যাবধি ভোগ-দখল করে আসছি। ওয়ারিশ সূত্রে ও ক্রয়সূত্রে নামজারি মূলে মোঃ আবুল হোসেন আমিই এই জমি ভোগ-দখল করছি।
সন্ত্রাসী জইল্লার ভাগনি জামাই নাসিরউদ্দীন, আলেয়া বেগমের বড় মেয়ের জামাই, ৪নং চাখার ইউপিতে কম্পিউটারে কর্মরত আছেন। শাশুরি আলেয়া বেগম ও মামাশ্বশুর জইল্লা সন্ত্রাসীর পক্ষ নিয়ে মাস্টার সজিব বিল্লাহর ফেসবুক আইডি অবৈধভাবে ব্যবহার করে আমাকে মারধরের হুমকি দেয় বলে জানা যায়।
জইল্লা সন্ত্রাসীর অতীত কাহিনীঃ সন্ত্রাসী জইল্লা জামাত-শিবির ও বিএনপির সক্রিয় কর্মী বলে জানি।
সে ইতোমধ্যে এলাকায় অনেক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ কর্মী হারুন সরদারকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষেতের ঘাস নিড়ানো কাচি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
ওই এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল সিকদারকে মারধর করে একটি চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা চালায় এবং চোখটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইসমাইল সিকদারের বড় ভাই মোঃ রহম আলী সিকদারকেও বেদম প্রহারে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে। এরা দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, চাখার ক্যাম্প পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশদেরকে মারধরের চেষ্টা চালায় এই সন্ত্রাসী জইল্লা। ছিনতাই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পিটানি খেয়ে রক্তাক্ত জখম হয় এই সন্ত্রাসী।
এত ঘটনা ঘটিয়েও এলাকায় নিজে নিজেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বর্ণনা দিয়ে দম্ভ করে বলছেন, আমি এলাকায় এতসব ঘটনা ঘটিয়েছি, আমার কেউ কিছু করতে পারেনি।
বর্তমানেও আমি যেকোনো ঘটনা ঘটাতে প্রস্তুত আছি, আমি কাউকে পরোয়া করি না। আমার কেউ কিছু করতে পারবে না!
জইল্লা সন্ত্রাসীর হুঙ্কারে এলাকাবাসী আতঙ্কে আছে বলে জানা যায়। এই জইল্লা সন্ত্রাসী এলাকায় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে এলাকার মানুষের মুখে মুখে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
জইল্লা সন্ত্রাসীর তাণ্ডবে এলাকাবাসী দিন দিন অসহায়ত্ববোধ করছেন ও অতিষ্ট হয়ে উঠছেন।
একে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে এলাকাবাসী মনে করেন।


নিবেদক
বরিশাল

 

 

(মো: আবুল হোসেন)
পিতা মৃত রশীদ সরদার
গ্রাম: বড় চাউলাকাঠী
থানা: বানারীপাড়া
জেলা: বরিশাল।

Next Post

কচুয়া উপজেলায় ১৯৭১ সালে ঘাতক পাকিস্তানী বাহিনী এবং রাজাকারদের হাতে শহীদ যারা

কাকারবিল ১। অাব্দুল খালেক, পিতা: রহিম উদ্দীন শেখ। ২। ইসমাইল শেখ, পিতা: আইনুদ্দিন। ৩। শাহজাহান মৃধা, পিতা: শফিউদ্দিন মৃধা। ৪। মেছখালী ১। আব্দুল হালিম সরদার, পিতা: নওয়াব আলী সরদার। ২। অাবেদ আলী শেখ, পিতা: ছবেদ আলী শেখ। ধোপাখালী ১। চৌধুরী হেমায়েত উদ্দিন, পিতা: আব্দুল মজিদ চৌধুরী। ২। মুজিবুর রহমান, পিতা: […]
কচুয়া

এগুলো পড়তে পারেন