২৫ শে মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে একাত্তরে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ‘৭১। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রজন্ম ’৭১-এর উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেন, এবারের ২৫শে মার্চ জাতীয় ভাবে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দিবসটির আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতির ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান। বাণিজ্যমন্ত্রী প্রজন্ম’ ৭১কে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করায় ধন্যবাদ জানান এবং গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য বিশদভাবে বর্ণনা করেন।
প্রজন্ম’ ৭১ এর সভাপতি শাহীন রেজানুরের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির প্রধান ডা: এম এ হাসান গণহত্যাকে স্বরণ এবং এর আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণমূলক বক্তব্য রাখেন। ব্যারিষ্ট্রার তুরিন আফরোজ গণহত্যার সংজ্ঞা এবং বাংলাদেশের গণহত্যার প্রকৃত বিবরণাদি তুলে ধরে এর আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতির জোরালো দাবী উত্থাপন করেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা: সারোয়ার আলী বাংলাদেশে গণহত্যার বিভিন্ন ঘটনা উপস্থাপনপূর্বক এ ব্যাপারে সকলকে সোচ্চার হয়ে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি আদায়ে তৎপর হবার আহবান জানান।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, হেফাজতের ডিক্টেশনে যদি রাষ্ট্র ও শিক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলে তাহলে গণহত্যাই স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি তাতে কিছুই যাবে আসবে না। সুতারাং আগে স্বাধীনতা বিরোধী চেতনার মুলোৎপাটন দরকার। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পিযুষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, হেফাজতদের অাস্কারা দেওয়া বন্ধ করতে হবে, নইলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস গণহত্যার তাৎপর্য তুলে ধরেন। বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব) আব্দুর রশীদ একাত্তরের গণহত্যা এবং এ বিষয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বাস্তবমূখী ও সাহসী ভূমিকার ভুষয়ী প্রশংসা করেন।
শহীদ সন্তান মেঘনা ওহ ঠাকুরতা, আসিফ মুনীর, শমী কায়সার, নুজহাত চৌধুরী, মিজানুর রহমান তালুকদার প্রমুখ গণহত্যার আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সর্ব মহলের করণীয় বিষয়ে বিশদ প্রস্তাবনা পেশ করেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রনের মধ্যে ১৫ দলের শীর্ষ নেতা ডা: শাহাদৎ হোসেন, গনজাগরণ মঞ্চের নেতা কামাল পাশা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শিলাভয়া পারভিন, কিশোর আদিত্য, আযাজ মাহমুদ চঞ্চল, বশির আহম্মেদ, নজরুল ইসলাম, ফাহমিদা খানম, কাজী সাইফুদ্দিন আব্বাস, সাজ্জাত হোসেন নিশি প্রমূখ শহীদ সন্তানগন উপস্থিত ছিলেন।