গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স-২০১৭ আয়োজন করছে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র

follow-upnews
0 0

“গণহত্যা নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ” বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরি এবং সাধারণ মানুষকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সচেতন করার অংশ হিসেবে ”গণহত্যা নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স ২০১৭ শুরু হয়েছে ২৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে। ৩০ জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে প্রশিক্ষণ কোর্সটি পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বিপুল আগ্রহের কারণে প্রশিক্ষাণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত ৫২ তে।

২৭ এপ্রিল, ২০১৭ তারিখ অপরাহ্ণে, খুলনা সার্কিট হাউসে আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট এর স্বপ্নদ্রষ্টা অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।

https://youtu.be/CB3RH_8wq1s

দেশের বিভিন্ন বরেণ্য ব্যক্তি, এবং বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। প্রশিক্ষণ পর্বের প্রথম দিন প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। ড. হারুন-অর-রশীদের তথ্যবহুল বক্তব্য প্রশিক্ষণার্থীদের বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করে।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
“মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি” বিষয়ে বক্তব্য রাখছেন ড. হারুন-অর-রশীদ। মঞ্চে উপবিষ্ট রয়েছেন ডা. শেখ বাহারুল আলম।

 

বক্তব্য রাখছেন ডাঃ.শেখ বাহারুল আলম, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন

 

”বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, যুদ্ধ শুরু ও প্রাথমিক প্রতিরোধ” বিষয়ে বক্তব্য রাখছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

 

সেশনের দ্বিতীয় দিনে “মুক্তিযুদ্ধে শিল্পীদের অবদান” বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করছেন মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী হাসেম খান।

প্রথম দিনের প্রশিক্ষণ ক্লাস শেষে কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ বিষয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞ বক্তাদের বক্তব্য তাদেরকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে বলে তারা মত দিয়েছেন। প্রশিক্ষণার্থী, “ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ”-এ কর্মরত লেখক আঁখি সিদ্দিকা বলেন, “এই প্রশিক্ষণে অংশ না নিলে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমার অনেক কিছু অজানা এবং অনেক ভ্রান্ত ধারণা থেকে যেত।

২৮ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ থেকে প্রতি শুক্র ও শনিবার প্রশিক্ষণ কোর্সটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রশিক্ষণার্থীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি করে আর্টিকেল জমা দেবেন, যেটি মনোনীত হলে বই আকারে প্রকাশিত হবে। প্রশিক্ষণ পর্বটি সফলভাবে শেষ করলে এবং নিজ কাজের উপর ভিত্তি করে পাণ্ডুলিপি জমা দিতে সক্ষম হলে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ প্রদান করা হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য কিছু ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানালেন আর্কাইভ জাদুঘর-ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।


১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট 

বাংলাদেশের প্রথম গণহত্যা জাদুঘর ’১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ বা গণহত্যা জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনা নগরীর ৩৩৪ নম্বর শেরে বাংলা রোডের ময়লাপোতা মোড়ে একটি ভাড়া বাড়িতে। খুলনায় স্থাপিত হলেও এটি কোনো আঞ্চলিক জাদুঘর নয়। বাংলাদেশের একমাত্র গণহত্যা জাদুঘরটি খুলনায় স্থাপন করার কারণ হচ্ছে খুলনার চুকনগরেই সবচেয়ে বড় ও নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিলো পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা। জাদুঘরটির স্বপ্নদ্রষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক, লেখক মুনতাসীর মামুন।  বর্তমানে জাদুঘরটি ২৬ সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনায় নিজ ভবনে স্থাপিত হয়েছে।

Next Post

যাত্রীসেবা বলে কিছু কি দরকার নেই?

এগুলো পড়তে পারেন