রাজবাড়ীর সেনবাড়ী গণহত্যা: বিহারী রাজাকারেরা সেনবাড়ীতে ঢুকে হত্যা করেছিল ৬ জনকে

follow-upnews
0 0

যে স্থানে গণহত্যাটি সংগঠিত হয়:

গ্রাম: রামপুর, ইউপি: শহীদ ওয়াহাবপুর, উপজেলা: সদর, রাজবাড়ী।

যে ছয়জনকে হত্যা করা হয়:

আমার ঠাকুরদা: শহীদ আদ্যনাথ সেন (৮২), ঠাকুরমা: শহীদ সরজু বালা সেন (৭৪), অবিনাশ চন্দ্র দে, মাখন লাল দে, আমার পিসতুত দাদা: মুকুল বোস (৪৫), জ্যাঠাতো ভাই: বিনয় সেন (২২)

সরজু বালা সেন
শহীদ সরজু বালা সেন। অন্যান্যদের সাথে আমার ঠাকুমাকেও সেদিন বিহারী রাজাকারেরা হত্যা করে।

১০ মে ১৯৭১, স্থানীয় বিহারী রাজাকারেরা আমাদের বাড়ীতে এসে অতর্কিতে হামলা করে। আমাদের বাড়ীর পিছনে বিহারী কলোনি ছিল। কলোনি থেকে ওরা অনেক কয়জন একসাথে এসে হামলা করে। আমি তখন খুবই ছোট— বারো কি তেরো বছর বয়স। আমি এবং আমার অন্য ভাইয়েরা মিলে দৌঁড়ে পালাই। বিনয় কুমার সেন নামে আমার জ্যাঠাতো ভাইকে পালানোর সময় ওরা ধরে ফেলে। এরপর তাকে হত্যা করে। আমার ঠাকুমা এবং ঠাকুরদা ছিলেন বৃদ্ধ, এবং বাড়ীতে বেড়াতে আসা অন্য দু’জন মানুষ দৌঁড়ে পালাতে পারে না। তাদেরকে ঐ বাড়ীতেই হত্যা করে। এভাবে সেদিন ছয়জন মানুষকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছিল। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর কেটে গেলেও আজ পর্যন্ত কেউ এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বা আমাদের পরিবার সম্পর্কে কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। আমি আমাদের বাড়ীর এই গণহত্যা সহ ১৯৭১ সালে এদেশে সংগঠিত সকল গণহত্যার স্বীকৃতি সহ বিচার দাবী করছি।


অলক সেন

সাধারণ সম্পাদক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, ফরিদপুর।

Next Post

নগরকান্দার সরকারিভাবে অস্বীকৃত ছয় বীরাঙ্গনা জানালেন তাদের দু:খকষ্টের কথা

১. ছিয়ারন বেগম স্বামী: সোহরাব মোল্লা ঠিকানা: ধমরদী, চরযশোরদী, নগরকান্দা, ফরিদপুর। পাটের কাল— বর্ষা কেবল শুরু হইছে। আমার আব্বা তখন ফফু বাড়ি ছোট পাইককান্দি ছিলেন। নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। নামাজরত অবস্থায় তাকে মেরে ফেলে পাকিস্তানি বাহিনী। আমি গিয়েছিলাম আমার আব্বাকে খুঁজতে। ঘোড়ামারা বিলের কাছাকাছি একটা জায়গায় আমার ওপর নির্যাতন করে। আমার […]
নগরকান্দা

এগুলো পড়তে পারেন