’৭১ এর রাজাকারেরা আজও বাংলার মাটিতে বুক ফুলিয়ে চলছে

রাজাকারের কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ নিচ্ছে

প্রাণতোষ তালুকদার


মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানাধীন রৌহা গ্রামে মোঃ হকের বসত বাড়ীতে ’৭১-এ পাকিস্তানী পাঞ্জাবীদের ক্যাম্প বসত।

তখন আঃ হক সাহেব এবং তার ছেলেরা, আওয়াল গং পাকহানাদার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে এই এলাকার মানুষের উপর অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন ও লুটতরাজ করেছিল।

সেই সাথে পাকহানাদারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হিন্দু-সংখ্যালঘুদের ওপর প্রচণ্ডভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে স্বর্ণলংকার ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়েছিল।

আজও ঐ রাজাকার পরিবার এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দাপটের সঙ্গে। রৌহা গ্রামের লোকমুখে জানা যায় ’৭১-এ কোনো লোক যদি আঃ হক গং রাজাকারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করত বা টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার দিতে কোনো ব্যক্তি অপারগতা প্রকাশ করত, তাদেরকে ধরে পাকহানাদার বাহিনীর কাছে এনে দিত এবং বিভিন্ন ধরনের বিভিন্নভাবে চরম নির্যাতন চালাত। 

আরো জানা গেছে যে দৌলতপুর থানাধীন রৌহা গ্রামের ঐ আওয়াল পরিবার একটা রাজাকারের পরিবার। ঐ আওয়ালের সহযোগীতায় ঐ এলাকার মা-বোনদের শীলতাহানিসহ অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন করেছিল পাকিস্তানী বাহিনী এবং রাজাকারেরা। আজও এলাকার জনগণ ঐ রাজাকার পরিবারের কথা ভুলতে পারে নাই।

ওদের ভয়ে অদ্যাবধিও কেউ মুখ খুলতে পারে না; এরা এতটাই শক্তিশালী ও প্রভাবশালী।  রৌহা গ্রামের জনগণ দুঃখ করে বলে আজও বাংলার মাটিতে ’৭১ এর রাজাকারেরা বুক ফুলিয়ে চলছে।

কিছুদিন আগেও পরিতোষ নামে এক বয়স্ক হিন্দুসংখ্যালঘুকে মেরে পুকুরে ফেলে রেখেছিল। এলাকার জনগণ তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা করান।

সেই ব্যক্তির জায়গাজমি দখল করে দোকানপাঠ করেছে ঐ রাজাকারেরা। সেই জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঐ রাজাকার পরিবার। সেই পরিতোষ এখন পর্যন্ত কোন বিচার পায় নাই।