সাজ্জাদ হোসাইন, জামালপুর প্রতিনিধি
“নিজেকে যেন তিনি রাজা হিসেবে গণ্য করেন, বলে বেড়ান সাংবাদিকেরা তাঁর পকেটে থাকে।” জামালপুর সদরের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দোকানদার বলছিলেন কমিশনার হেলাল উদ্দীনের অনেক কীর্তিকলাপের কথা।
তাঁর বিরুদ্ধে সত্য কথা বলা এবং লেখা বেশ কঠিন। তিনি সাংবাদিকদের হুমকি দেন, মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার কথা বলেন, ক্যাডার পাঠিয়ে হামলা করেন। থানা-পুলিশ তাঁর বিশেষ খাতিরের জায়গা এবং এটা তাঁর নিজেরই ভাষ্য। কিছুদিন পূর্বে জমি দখল করতে গিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে এক নিরীহ দম্পতির উপর হামলা করার নির্দে শ দেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় তখন প্রতিবেদনও প্রকাশীত হয়।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল ফেসবুকে। নড়েচড়ে বসেছিল জামালপুর জেলা প্রশাসন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। ওসি, জামালপুরকে অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশে দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু তাকে থামানো সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি তিনি শাহপুর এলাকায় মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়িতে ক্যাডার বাহিনী পাঠিয়ে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি আগের মতই কমিশনার হেলাল উদ্দীনের নাম বাদ দিয়ে মামলা নিতে রাজি হন।
থানায় প্রতিকার না পেয়ে মামলার বাদী বিষয়টি সরাসরি পুলিশ সুপারকে জানান। পুলিশ সুপার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ডিবি (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ), জামালপুরের কাছে হস্তান্তর করেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে জামালপুরে তাঁর লাগামহীন ক্ষমতার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে জানা যায়, তিনি বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি দখল করে এবং সেগুলো ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে সাদা-কালো টাকার মালিক হয়েছেন। এমনকি রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় হোটেল ব্যবসার আড়ালে তাঁর পতিতা ব্যবসা রয়েছে বলে তাঁর দলেরই কয়েকজন অভিযোগ করেছেন।
[প্রতিবেদনে বক্তব্য হিসেবে আসলেও ফলোআপনিউজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ জাতীয় (পতিতা ব্যবসার) অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে অনেকে এ অভিযোগ করেছে।]
সম্প্রতি তাকে নিয়ে প্রকাশীত প্রতিবেদনের লিংক—