থানার গ্রেফতার বাণিজ্য, সরকারি অফিসের কেনাকাটা বা টেন্ডার বাণিজ্য অথবা যেকোনো ধরনের দুর্নীতি— জেলা উপজেলার এসব সন্ত্রাস দুর্নীতির এক অংশের ভাগিদার এখন প্রেসক্লাবের সভাপতি সেক্রেটারি সহ নেতাকর্মীরা। বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। ফলোআপ নিউজ এ বিষয়ে কয়েকটি জেলায় এবং উপজেলায় অনুসন্ধান করেছে। উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র। ভূমি অফিশ থেকে শুরু করে রাজস্ব অফিস— সকল জায়গাতেই রয়েছে সাংবাদিকদের দৌরাত্ম, কিন্তু কোনো নিউজই প্রকাশ হচ্ছে না, কারণ, তারা কিছু টাকার বিনিময়ে সন্তুষ্ট থাকছে। আর এ সকল কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রেসক্লাবের নেতারাই। স্বাধীনভাবে কেউ বস্তুনিষ্ট সংবাদ তুলে আনতে চাইলে সে হেনস্থার শিকার হচ্ছে, কোনঠাসা হয়ে পড়ছে। মূলত অসৎ সাংবাদিকেরাই এখন সংখ্যায় ভারী, এবং তারাই সিন্ডিকেট— দুবৃত্তের সহযোগী হিসেবে তারা নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এদের সাংবাদিক বলা কঠিন, প্রকৃতপক্ষে এরা বিভিন্ন পত্রিকার একটি পরিচয়পত্রধারী সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতিবাজদের তল্পিবাহক। এর বাইরেও একটি ধারা আছে, যারা প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিকতা করতে চায়, তবে তারা সংখ্যালঘু এবং কোণঠাসা।