রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। নিহতরা হলেন, শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম। আরও আটজনকে আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হোটেল র্যাডিসনের উল্টোপাশে দাঁড়িয়েছিল ওরা। সিএমএইচ স্টপেজ থেকে জাবালে নূর পরিবহনের একটা বাসে উঠছিল। ঠিক এ সময় পাল্লা দিয়ে আরেকটা বাস এসে চাপা দেয় ওদের!
২৯ জুলাই ২০১৮, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল রেডিসনের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের চাপা দেয় জাবালে নূর (ঢাকা মেট্রো ব-১১৯২৯৭) পরিবহনের একটি বাস। জানা যাচ্ছে, এ দুর্ঘটনাটি ‘জাবালে নূর’ নামক দুটি বাসের পাল্লার কারণে সৃষ্টি হয়েছে, অর্থাৎ এটি স্রেফ একটি হত্যাকাণ্ড।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,
ছুটি হয়ে যাওয়ায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী এমইএস বাসস্ট্যান্ডে মিরপুর ফ্লাইওভারের মুখে দাঁড়িয়েছিল। গতকাল রোববার দুপুর আনুমানিক সোয়া ১২টায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ওই ফ্লাইওভারের মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু পেছন থেকে একই পরিবহনের দ্রুতগতিসম্পন্ন আরেকটি বাস ওভারটেক করে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটির সামনে টার্ন নিয়ে ঢুকতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায় বাসটি।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘনার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন মন্ত্রী যখন হেসে হেসে বলেন,
“প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ১৬ জন দুর্ঘটনায় মারা যায়। সেখানে এতো আলোচনা হয় না, শুধু বাংলাদেশেই হচ্ছে। আমি মনে করি যে যতটুকু অপরাধ করবে, সে ততটুকু শাস্তি পাবে এবং যে শাস্তি পাবে সেই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতা করার কোনও সুযোগ নেই।”
তখন সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্ধ না হয়ে পারে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসে মানুষের বিক্ষুবদ্ধতা। উল্লেখ্য, রাজধানীতে বাসের পাল্লাপাল্লির ঘটনায় জীবন যাওয়ার ঘটনা এটি নতুন নয়। কিছুদিন আগের রাজীব নামে এক শিক্ষার্থীর হাত ছুটে যায় এবং পরবর্তীতে তিনি হাসপাতালে মারা যান। এরকম উদাহরণ অনেক।