দুই ভাই— বড় ভাই দীপক রায়, ছোট ভাই (সৎ ভাই) মানষ রায়। পিতা মারা যাওয়ার (২০০৭ সালে) পর গোপালগঞ্জ মডেল স্কুলের পিছে অবস্থিত পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দেখা দেয় বচসা। সৎ ভাইয়ের হাত ধরে ঢুকে পড়ে তৃতীয় পক্ষ। এরপর তৃতীয় পক্ষই সব করেছে, করছে। দুই ভাই বুঝে পায়নি তাদের ন্যায্য সম্পত্তি। বড় ভাই নিরীহ দীপক রায়ই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
দুই ভাইয়ের পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে ২১.৮ শতাংশ জায়গা পাওয়ার কথা, অথচ বড় ভাই দীপক রায়ের দখলে আছে এখন মাত্র আড়াই শতাংশ জায়গা! বাকী জায়গা বেহাত। হত্যার হুমকি মাথায় নিয়ে কোনোমতে একটি টিনের ছাপড়া ঘরে দুই ছেলে মেয়ে এবং পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি। কাজ করেন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে। দখলদারেরা দখল করে নিয়েছে তার কোটি টাকার সম্পত্তি। যাদের কাছে প্রতিকার চেয়েছিলেন তারাই শেষ পর্যন্ত জাল দলিল করে জায়গা বিক্রি করে দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তার ছাপড়া টিনের ঘরের সামনে উঠে গেছে দখলদারদের ছয়তলা ভবন! এখন তিনি দিশেহারা, কী করবেন বুঝতে পারছেন না।
দীপক রায় বলেন, ২০১৭ সালে (আনুমানিক) স্থানীয় কমিশনারের (৬ নং ওয়ার্ড) উপস্থিতিতে একটি সালিশি মীমাংসার মাধ্যমে আমার ওপর একটি রায় চাপিয়ে দেওয়া হয়। সালিশের রায় মোতাবেক আমাকে চার শতাংশ জায়গা বুঝে নিতে বলা হয়, তবে সেটুকু জায়গাও আমি এখনো পাইনি। প্রকৃতপক্ষে আমার পাওয়ার কথা সাড়ে দশ শতাংশ জায়গা।