দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার: ঐতিহ্যে সেরা, স্বাদে অতুলনীয়

follow-upnews
0 0
গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ শহরের মেইন রোডে কোর্ট চত্ত্বরে অবস্থিত দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার।

দেশের পুরাতন মিষ্টির দোকানগুলোর মধ্যে একটি গোপালগঞ্জের ‘দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার’। দোকানটি শুরু করেছিলেন গোপালগঞ্জ নিবাসী সুধীর দত্ত। তিনি একজন মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্বাধীনতার আগে (পাকিস্তান আমলে) দোকানটি বুঝে নিয়েছিলেন। কোনো নাম ছাড়াই দীর্ঘদিন তিনি গোপালগঞ্জে এখন যেখানে সাবরেজিস্ট্রি অফিশ ওখানে ব্যবসা করেছেন। তখন কিছু মিষ্টি এবং গরুর দুধের চা বিক্রি হত। এরপর স্বাধীনতার পর তিনি আসেন কোর্ট চত্বরে নতুন ঠিকানায়। ততদিনে তার মিষ্টির সুনাম ছড়িয়েছে। কোর্ট চত্বরে আসার পরে সুখ্যাতি ছড়িয়েছে দ্রুত। সুধীর দত্তের বড় ছেলে পবিত্র কুমার দত্ত জানালেন যে, সাবরেজিস্ট্রি অফিশের ওখানে দোকান থাকাকালীন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানও তাদের দোকানে এসে চা মিষ্টি খেয়েছেন, এবং এটা তিনি নিজের চোখে দেখেছেন।

দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার এখন এতটাই বিখ্যাত যে, সন্ধ্যের পরে দোকানে মিষ্টি কিনতে গেলে হয়ত আপনি আর মিষ্টি পাবেন না। খাঁটি দুধ দিয়ে মিষ্টি তৈরি করে থাকে দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার। দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতা আসে এ দোকানের মিষ্টি নিতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে অর্ডার দিয়ে মিষ্টি নিয়েছেন। এ দোকানের মিষ্টি খেয়েছেন এবং নিয়ে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে যে উপহার পাঠিয়েছিলেন, সেখানেও ছিলো দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি। দোকানের আর শাখা বাড়াচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে প্রয়াত সুধীর দত্তের ছেলে প্রবীর কুমার দত্ত বলেন— শাখা বাড়ালে মান ধরে রাখা যাবে না, অভিজ্ঞ কারিগরের সংকট রয়েছে। তাছাড়া নতুন প্রজন্ম আর এ ব্যবসার দিকে ঝুঁকতে চাচ্ছে না। একটি ব্যবসা পরিচালনা করার অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো আমাদের প্রজন্ম হয়ত নিতে আর ইচ্ছুক নয়। আমার বাবা খুব সহজ সরল মানুষ ছিলেন, তিনি সততার সাথে ব্যবসা করে গিয়েছেন, আমরাও তাই-ই চেষ্টা করি, কিন্তু যুগ বদলেছে, নানান ধরনের অসুবিধা যে রয়েছে সেটি না বললেও আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন। তবে আমরা ভালো আছি, ব্যবসা যাই হোক, সুনাম ধরে রাখতে পেরেছি, এটাই আমাদের বড় পাওয়া। 

দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার
ডান থেকে দ্বিতীয় দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের প্রতিষ্ঠাতা সুধীর দত্ত।
Next Post

পৈতৃক সম্পত্তিতে প্রায় সব হারিয়ে এখন তিনি দখলদারদের করুণার পাত্র!

দুই ভাই— বড় ভাই দীপক রায়, ছোট ভাই (সৎ ভাই) মানষ রায়। পিতা মারা যাওয়ার (২০০৭ সালে) পর গোপালগঞ্জ মডেল স্কুলের পিছে অবস্থিত পৈতৃক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দেখা দেয় বচসা। সৎ ভাইয়ের হাত ধরে ঢুকে পড়ে তৃতীয় পক্ষ। এরপর তৃতীয় পক্ষই সব করেছে, করছে। দুই ভাই বুঝে […]
দখলদার আরিফ