বাগেরহাটের পুরাতন বাজারে অবস্থিত পৌরঘাটটি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

শুভ দত্ত সৌরভ, বাগেরহাট

বাগেরহাট


বাগেরহাটের পুরাতন বাজারে অবস্থিত পৌরঘাটটি, স্থাপিত হয় ১৯৮৫ সালে। পৌরসভার মধ্যে বলে নাম পৌরঘাট, এছাড়া মূলত পৌরসভার সরকারি মালামাল এ ঘাটে খালাস হতো। তখন পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে খুব এখটা পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ হতো না।
নির্মাণ কাজে ব্যাবহারের জন্য সরকারি মালামাল (সিমেন্ট, রড, বালি) নিয়ে ছোট, বড় নৌকা, জাহাজ এই ঘাটে এসে ভিড়ত। এবং এখানে থেকে মাল উত্তোলন হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার এবং পিডব্লিউ এর পাশে এবং সরকারি খাতে জমা হতো। পরবর্তীতে সরকারি বিল্ডিং, রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য যে রড বালি সিমেন্ট লাগত তা এই সমস্ত এলাকা থেকে সারা বাগেরহাটে সাপ্লাই দেওয়া হতো।
এই কার্যক্রম ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চলে। এরপরে ঘাটটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় কিছু সাক্ষী নিয়ে পড়ে থাকে। ২০০২ সাথে স্থানীয় কিছু লোকের আবেদনে তৎকালীন সরকারের বাগেরহাট-২ আসনের মাননীয় সাংসদ সদস্য এমএইচ সেলিম এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন।
মসজিদের সামনে আরও কিছু অবশিষ্ট জায়গা ব্যবসায়ীদের ব্যাবসায়ের সাথে বাৎসরিক চুক্তিতে ভাড়া দেয়া হয়। ভাড়ার টাকা মসজিদ উন্নয়নে ব্যবহৃত হয় বলে জানা যায়। জায়গা ভাড়া দেয়া ও এই ভাড়ার টাকায় মসজিদ উন্নয়ন করার দায়িত্ব কমিটির বলে ভোগদখলকারী ব্যবসায়ীরা বলছে।
ইট,বালু ব্যাবসায়ী আবুল কালাম ফলোআপনিউজ কে বলেন, পৌরঘাটে সরকারি মাল ওঠানাম করত। সেইভাবে বাগেরহাট শহরে কোনো ঘাট নেই। একটাই পৌর ঘাট।ছিল এখানে। পৌরসভা পৌরঘাট ভাড়া দিতো। সাইকেল গ্যারেজের মালিক আব্দুল কাদের ফলোআপনিউজ কে বলেন, এটা পূর্বআমলের ঘাট। এখানে সুড়কি ভাঙা হতো। যে চুন সুড়কির গাতনি হতো সেই সুড়কি মেশিনে গুড়া করা হতো।
এটি এখন একটি নির্দশন হয়ে পড়ে আছে। এলাকাবাসীর দাবী- ঘাটটি আবার পৌরসভার তত্ত্বাবধানে চালু করা হোক। তাঁরা বলছে, এতে মানুষের সুবিধা হবে, সরকারের কোষাগারে টাকা জমা হবে। এখন যে ঘাট রয়েছে সেটি ব্যবহার করতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের অবৈধভাবে টাকা দিতে হয়। তবে এলাকাবাসী কারো নাম বলতে রাজি হয়নি।