সরকারি জায়গা এবং সুবিধা ব্যবহার করে পার্কের ব্যবসা, রাখা হয় গলাকাটা এন্ট্রি ফি

কন্ট্রাকটরের নাম জি.এম. মোস্তাফিজুর রহমান। সারাদেশেই রয়েছে তার পার্কের ব্যবসা। সরকারি জায়গা এবং সুবিধা ভাড়া নিয়ে তিনি পার্কের ব্যবসা করেন। তিনি ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যে, এই পার্ক সংক্রান্ত বিষয়েই জিএম মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, সুযোগ সুবিধা অনুপাতে এসব পার্কে দর্শনার্থীদের খরচ করতে হয় অনেক বেশি। পাশাপাশি যে ৭০ টাকা এন্ট্রি ফি নেওয়া হচ্ছে, তার বিনিময়ে কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। এখানে ভিডিওতে খুলনা খালিশপুরের এমিউজমেন্ট পার্কটি দেখানো হয়েছে। এটি জরাজীর্ণ, অপরিচ্ছন্ন এবং মশাযুক্ত। টিকিটে দর্শনার্থীদের অংশে ঢোকার জন্য যে ৭০ টাকা নেওয়া হয়েছে সেটি উল্লেখ নেই, তবে মুড়িতে টাকার পরিমাণ রয়েছে, পাশাপাশি লেখা রয়েছে ৭০ টাকার বিনিময়ে ঢোকা এবং একটি রাইডে চড়ার সুবিধার কথা, যেটি মূলত ভোক্তাদের দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে কন্ট্রাকটর তথা পার্কটির মালিকের সাথে কথা বলতে চাইলে ম্যানেজার মাহতাব আলী বলেন, মালিকের মোবাইল নম্বর দেওয়ার অনুমতি নেই। তবে মালিকের বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরে এবং দেশব্যাপী তার পার্কের ব্যবসা রয়েছে বলে ম্যানেজার জানান। টিকিট কাউন্টারের পরিচালক সুমাইয়া বলেন, ৭০ টাকার মধ্যে একটি রাইডের সুবিধা আমরা কখনো কখনো দিয়ে থাকি।

কয়েকজন দর্শনার্থী জানালেন, তারা পার্কটিতে ঢুকে খুশি নন। এটি অন্ধকার, অপরিচ্ছন্ন এবং এন্ট্রি ফি অনেক বেশি। তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন শ্যামলীতে অবস্থিত ‘শিশুমেলার’ নাম পরিবর্তন করে ‘ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড’ করার ক্ষেত্রেও রয়েছে ওন্ডারল্যান্ড গ্রুপের এই মালিত জিএম মোস্তাফিজুর রহমানের হাত। তার গ্রুপই বর্তমানে ভূতপূর্ব শিশুমেলা পরিচালনা করছে। নগরবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, শিশুমেলা নামটি সুন্দর ছিল, নামটি কেন পরিবর্তন করা হলো বিষয়টি আমাদের জানা নেই।