বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার সৌজন্য সাক্ষাত করতে যান একই উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের রঘুদত্তকাঠী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা এবং ’৭১-এর নির্যাতীত নারী চপলা রাণী দাসের সাথে। তিনি সম্মাননা হিসেবে চপলা রাণী দাসকে একটি উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এ সময় তিনি চপলা রাণী দাসের কাছ থেকে ’৭১-এর লুটপাট এবং ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন। উল্লেখ্য, ’৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত বাড়িটি রাজাকারদের ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের দৈবজ্ঞহাটী রাজাকার ক্যাম্প এবং এই বাড়ির ক্যাম্প থেকেই রাজাকাররা গিয়ে শাঁখারীকাঠী বাজারে কুখ্যাত গণহত্যা সংগঠিত করে। চপলা রাণী দাসের পরিবার অপমান নির্যাতন সইতে না পেরে এক সময় ভারত চলে যেতে বাধ্য হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবার ফিরে আসে। ফিরে এসে দেখে— ঘরের দরজা জানলা পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে পরিবারটি আবারও নির্যাতীত হয়েছে। মামলা মোকদ্দমায় হয়েছে নি:স্ব। জাল দলিল করে এলাকার মাস্তানরা বিভিন্ন সময়ে এ বাড়ি থেকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ লুটপাট করেছে। রোগে শোকে অভাবে জর্জরিত হয়ে পরিবারটি এখন পথে বসার যোগাড়। অথচ এ পরিবারটি এক সময় ছিল এলাকার পরোপকারী একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার। এ সবকিছু জেনে কচুয়া উপজেলার সুযোগ্য চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং সার্বিক বিষয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, চপলা রাণী দাসের ওপরে আন্তর্জাতিকভাবে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের অংশ হিসেবে কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার এ সফর করেছেন। প্রামাণ্যচিত্রটি অচিরেই অবমুক্ত হবে।