হেফাজতের মতো উগ্র মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতি সরকার হঠাৎ কেন নমনীয় তার ব্যাখ্যা চেয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘হেফাজতের মতো উগ্র মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতি সরকার হঠাৎ কেন নমনীয় তার ব্যাখ্যা সরকারকে দিতে হবে। আমরা বহুবার দাবি জানিয়েছি, জামায়াত-হেফাজতের মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় অর্জন ধ্বংস হয়ে যাবে।’
কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর হেফাজতে ইসলামের ধৃষ্টতা আরও বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে হেফাজত উল্লসিত হয়েছে। এরপর আমরা রাতের অন্ধকারে ভাস্কর্য অপসারণ ও পুনঃস্থাপন নাটক দেখেছি।’
হেফাজত সম্পর্কে সরকারের বর্তমান অবস্থানের ফলে প্রধানমন্ত্রীকেও হেফাজত নেতারা হিজাব পরিয়ে ছাড়বে বলে সাবধান করে দেন নির্মূল কমিটির নেতারা। বক্তারা বিভিন্ন স্থানে ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য শিল্পী, ভাস্কর, স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদদের সমন্বয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন, নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং কমিটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‘কিছু প্রসিকিউটরের’ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, শিল্পী হাশেম খান, স্থপতি রবিউল হুসাইন, আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক বক্তব্য দেন।