মুক্তিযোদ্ধা সরদার আব্দুল জলিল অ্যাড. কে না পেয়ে রাজাকারেরা জনাব জলিলের কিশোর বয়সী ভাইপো এবং ভাগ্নে দেলোয়ার হোসেন ও আলতাফ হোসেনকে ধরে নিয়ে যায়। তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শহরের দড়াটানা নদীর ঘাটে, ওখানে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।
বাগেরহাটের রাজাকারেরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার অব্যবহিত পরে একটি হত্যা তালিকা করেছিল। তালিকায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতার নাম ছিল। বাগেরহাট মহকুমার সদর আওয়ামী লীগের নেতা মুক্তিযোদ্ধা সরদার আব্দুল জলিল অ্যাড. এর বাড়ি ছিল খারদার গ্রামে। ২৪ এপ্রিল বাগেরহাটে পাকিস্তানী বাাহিনী প্রবেশের পর থেকে রাজাকার বাহিনী সক্রিয় এবং বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতার মতো সরদার আব্দুল জলিলও আত্মগোপন করেছিলেন।
সরদার বাড়ির একজন জামাই— মোরেলগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব হাওলাদার ৩১ আগস্ট বুধবার হঠাৎ করে আব্দুল জলিলের বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। এ খবরটা রাজাকাররা পেয়ে যায়। ঐদিনই রাতে এসে পাকিস্তানী বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে। আব্দুল জলিলকে না পেয়ে রাজাকারেরা জনাব জলিলের কিশোর বয়সী ভাইপো এবং ভাগ্নে দেলোয়ার হোসেন ও আলতাফ হোসেনকে ধরে নিয়ে যায়। তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শহরের দড়াটানা নদীর ঘাটে, ওখানে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঐ দুই কিশোরকে বেয়নেট চার্জ করে বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছিল, লাশ পাওয়া গিয়েছিল নাড়িভুড়ি বের হওয়া অবস্থায়। এই ঘটনা দেখে দেলোয়ার হোসেন ও আলতাফ হোসেনের দাদী অসুস্থ হয়ে মারা যান।