আড়াল
আমার অবিশ্বাসে জড়িয়ে আছো তুমি
বিশ্বাসেও আছো ভালোবাসায় আবৃত।
নক্ষত্রের ফেরি করে
চাঁদের আলোয় লুকিয়ে খোঁজ সপ্তর্ষির বলয়।
সবটাই জানা আছে আমার
জোছনায় ভাসিয়ে তোমাকে
আমিও হই জোনাকিপোকা।
সন্ধ্যাতারা যেমন শুকতারায় পূর্ণ হয়
তোমার-আমার খেলাও তেমন
দুই মেরুর গল্পে এক হয়।
উত্তর খুঁজে পায়না দক্ষিণকে
তবু উত্তর দক্ষিণ মুখোমুখি
আড়াল শুধু বাতাসে মধুরিমার সুর।
‘আমি’র অন্বেষণে
একটি অন্তর পেতাম যদি
যেখানটায় বাস করলে
সমুদ্র পাওয়া যায়।
একটি মাঠ পেতাম যদি
যেখানটায় হেঁটে গেলে
গাছেদের ছায়ায় লুকানো যায়।
একটি দৃষ্টি পেতাম যদি
যেখানটায় স্পর্শ করলে
আকাশের নীল ছোঁয়া যায়।
একটি মন পেতাম যদি
যা নিয়ে রূপকথার কথামালায়
স্বপ্ন সাজানো যায়।
একটি প্রেমিক পেতাম যদি
যার নিশ্বাসে দেশের মাটির
ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
একটি হৃদয় পেতাম যদি
যেটায় কষ্ট পেলেও
নতুনের গান শোনা যায়।
একটি স্বপ্ন পেতাম যদি
যেটাতে হেরে গেলেও
আশায় প্রাণ বাঁধা যায়।
একটি গল্প পেতাম যদি
যেটার শেষটা না পড়েও
পুরোটা বোঝা যায়।
একটি জীবন পেতাম যদি
যেটায় হেরে গেলেও
নতুন করে ফিরে যাওয়া যায়।
একটি ‘আমায়’ পেতাম যদি
যেখানে না বলা গল্পের ভীড়ে
সবটা বোঝা যায়।
একটি কবিতা পেতাম যদি
যেটাতে স্বপ্নপূরণের সবটা গল্প
আঁকা হয়ে গেছে।
বসন্ত নিমন্ত্রণে
চৈত্রের দুপুরে তোমাকে দিতে চাই
ঝরা পাতা আর কচি পাতার ঘ্রাণে
একটি পুরো বন আর
রোমান্টিক একটি মন।
তরুণী হিল্লোলে বৃক্ষের নৃত্যে
হারাবে দু’চোখে অস্তিত্ব আমার
আমি ছোঁব তোমার মন।
একটা বিকেলের সবটুকু নরম রোদে
তোমার ভালো লাগার সঙ্গী হবো।
বনের পত্র পল্লবে ঘিরে
মায়াবী আলো-ছায়ায় বৃক্ষ সংগীতে
তোমার মনে আসনপিঁড়ি নিয়ে
তোমাতেই মগ্ন হব।
কোকিল আলাপনে বৃক্ষের তালে
আমার কথারা মাতাল হবে
তোমার বসন্ত মন হরণে।
ভরা বনে আলো- আঁধারের মাঝে
আলো ফুটাবো তোমার মনোসাঁঝে
তোমার যান্ত্রিক প্রাণে, মন ভেজাবো
আমার বসন্ত গানে।
জুয়েনা ইয়াছমিন