Headlines

বলাই দাসের কবিতা

পাদপ

পাদপ ছায়ে পাদবিক বসে, তরুশিরে গাহে পাখি

শাখায় শাখায় মধুর আলিঙ্গঁনে মিতালী করিছে শাখী।

কত ফুলে-ফলে সরস ধরণীতে মাথা উঁচু করে বাঁচে তরু,

বিটপি অভাবে কত দুঃখেতে সদা কাঁদিছে উসর মরু।

 

ভ্রমর-ভ্রমরী করে কানাকানি, দেখে ঐ গহীন বনে

হরিণ-হরিণী করে মাতামাতি প্রাণ বধুঁয়ার সনে।

সবুজ চাঁদোয়ায় ধরণী ছাইল ঝড়কে রুধিল গাছ

গাছের তলে বৃষ্টির তালে  নাচরে ময়ুরী নাচ।

 

বকুলতলা, বাদামতলা, শিমুলতলা, এমনি কত তলা যে ভাই-

এর চেয়ে অধিক তলার বুঝি আর দালান-কোঠা নাই।

কদলি পাকিল কদম ফুটিল ছুটিল মধুকর ফুলে,

শ্যামলী সাজাতে দু-একটি চারাগাছ নাওরা হাতে তুলে।

 

বৃক্ষমেলা বসেছে দেখ নগরীর উদ্যানে উদ্যানে

হাতে হাতে চারা শোভা পাচ্ছে কিনছে বিজ্ঞ জনে।

রাস্তার পাশে নগরীর পার্কে ভবনের ছাদে আর টবে,

মৌসুম যাচ্ছে যেখানে সম্ভব গাছকে লাগাতে হবে।

 

আম-কাঁঠাল আর জাম-জামরুল সব পুষ্টিমানের ফল,

হিজল-তমাল বট বৃক্ষের ছায়া কত সুশীতল।

ওষধি গুনে আছে ভরপুরে নিম বেল বাসক লতা-

লাগাতে কভু ভুলে যেও নাকো বনজ গাছের কথা।

 

শাপলা শতদল কচুরি-কলমী জলকে দিল শোভা

ব্রততী ছাইল অশ্বত্থ বট দেখিতে কি মনোলোভা

মেঘকে কাঁদায়ে অটবী হাসিল শস্য ফলিল মাঠে

বনানী ঘুমায়ে ক্লান্ত শরীরে  দিবাকর বসিল পাটে।

 

এতসব দেখি বেহায়ার মত কাটিছ তোমরা দ্রুম

দাবানলের আলো এর চেয়ে ভালো গাছের নেইকো ঘুম।

হোক না বনদস্যু কিংবা সমাজপতি গাছকে কাটিল কে?

গাছকে কাটতে দেখলেই তোরা পুলিশকে খবর দে।

 

বিশ্বসেরা বৃক্ষে ঘেরা সুন্দরবনের রূপের নেইতো শেষ

সবচেয়ে ভালো লাগে যে আমার সোনার বাংলাদেশ।