রাষ্ট্র নানা অধিকারে অধিকারনান্বিত করেছে নাগরিকবৃন্দকে।
যেমন ধরুণ, ধর্মানুভূতি প্রকাশ ও লালনের অধিকার, সুখাধিকার,
লিঙ্গাধিকার, বিশেষ গোষ্ঠি অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার,
বাকাধিকার ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি চিৎকার করে একবার কেবল কাদবার অধিকার চাই।
আমার কান্না সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে না
কোন টেরিন্ট্রিয়াল নেটওয়ার্কে,
আমি নাহয় কাঁদব কোন আঁধার জঙ্গলে গিয়ে!
বলতে পারেন
কে আপনাকে মানা করেছে জঙলে গিয়ে মরতে।
হা: হা: হা:
আপনারা জানেন না।
জঙ্গলেও আর নেই ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশের একচ্ছত্র অধিকার,
আজকাল বন্যপ্রাণিরাও পশু হয়ে গেছে।
ওরা আজকাল মানুষের কান্নাও খাবলে ধরতে আসে তীব্র হিংস্রতায়।
এ জনপদে আমার কান্নার কোন জায়গা নেই।
কিছু খাঁসজমির বন্দোবস্ত চাই
কোন বিভূঁই দ্বীপে,
তেপান্তরের বিরান বুকে।
আমি বালুকণায় শুকিয়ে আসব আমার প্রত্যেকটা অশ্রূফোটা।
কথা দিচ্ছি
লুতুপুতু অশ্রু নিয়ে হাজির হবনা আপনাদের এ সভ্যতম গণিকালয়ে।
যদি আসি
কথা দিচ্ছি
আমি গণ-ধর্ষিত হবো আপনাদের মনুষ্য অঙ্গ দ্বারা।
আমি কেবল আমার একান্তে কাঁদবার অধিকার চাই।
‘কান্নাধিকার অধ্যাদেশ-২০১৭’ নামের কোন অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে হবেনা,
কিংবা কোন আইন প্রয়োজন নেই সংসদে।
তবে যদি আমার মত আরো কারো এ দাবি থাকে
তবে গণভোটে জেনে নিতে পারেন জনতার মতামত।
আমার কোন জনসমর্থন নেই।
তাই,
রাজপথে নয়,
কবিতায় ন্যাায্যভাবে চাইছি আমার একচ্ছত্র কান্নার অধিকার।