কবিতাটি একটি আফ্রিকান দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে লেখা

follow-upnews
0 0

এইসব সরকারি কর্মকর্তা,
কোর্ট টাই স্যুট পরে,
সাবধানে নড়েচড়ে,
ঘুষ খেয়ে পকেট ভরে।

তবু তারা ভালো,
ঘরে বাইরে এরাই
আবার জ্বালে সব আলো।

বউকে দেয় এসি ঝাড়বাতি
জন্মদিনে হিরার গয়না,
মেটায় সব প্রেমিকা
পতিতাদেরও বাহানা।

কোনোমতে অফিশটুকু সারে,
হিন্দু মুসলিম নারী পুরুষ
এমনকি বন্দুক রাখে
জুচ্চোরদেরও ঘাড়ে।

পাঁচদিনের কামাই
তাতেই ঘরভাড়া খাইদাই,
বিলিয়ে দেয়
আছে যারা জোন জামাই,
এরপর কিনতে থাকে,
শাড়ি-ঘড়ি-গয়না,
আর দামী কনডম,
ভাগে ভাগে,
নতুন প্রেমিকার
ভাগটা কিন্তু সবার আগে।

এরা চিনে গেছে
লস অ্যাঞ্জেলেস বা পাতায়া,
গরীবের পকেট কাটা
কিছু পয়শা ছিটোলেই
জুটে যায়
দিন দুপুরেও রাতের বেহায়া।

অফিশে মায়ের পিছে,
সুযোগে তারা মেয়ের পিছেও হন্তদন্ত,
এরাই করে পরিকল্পনা,
এরাই নেয় দেশের যাবতীয় সিদ্ধান্ত।

মানবে না তুমি! পারবে?
এদের আছে সরকার,
পাইক পেয়াদা দরবার,
বেশি চেঁচালে তুমি
ডিজিাটাল আইনে মামলা খাবে।
তোমরা যারা ব্লগার, দেশে থাকবে?
নাকি পালাতে
লেজ গুটিয়ে বিদেশ যাবে?

হা, সবাই না তারা মন্দ,
তবে প্রায় সবাই,
এজন্য এভাবেই বলতে হবে,
বদমাইশদের কাপড় টেনে টেনে
খুলতে হবে।

জনগণ,
তোমরা তবে বলতে থাকো—
এরা সত্যি
দেশ ভূমি এবং মানুষ খেকো।


দিব্যেন্দু দ্বীপ

Next Post

ওয়াক থু // শেকস্ রাসেল

স্যাটায়ার খুবই প্রয়োজনীয় সাহিত্য, এটা একটা ব্যবস্থাকে দায়ী করে, ব্যক্তিকে নয়। যেহেতু আমরা সবাই কোনো না কোনো পেশার প্রতিনিধিত্ব করি, তাই স্যাটায়ার সাহিত্য অনেক সময় আমাদেরকেই ব্যঙ্গ করছে বলে মনে হয়। অনেক বন্ধুবান্ধবও এতে আক্রান্ত বোধ করতে পারে, কিন্তু বিষয় আসলে সেটি নয়, এটা স্রেফ একটি অপব্যবস্থাকে বিদ্রুপ করা, এবং […]
বিদ্রুপ সাহিত্য