ওয়াক থু // শেকস্ রাসেল

follow-upnews
0 0
স্যাটায়ার খুবই প্রয়োজনীয় সাহিত্য, এটা একটা ব্যবস্থাকে দায়ী করে, ব্যক্তিকে নয়। যেহেতু আমরা সবাই কোনো না কোনো পেশার প্রতিনিধিত্ব করি, তাই স্যাটায়ার সাহিত্য অনেক সময় আমাদেরকেই ব্যঙ্গ করছে বলে মনে হয়। অনেক বন্ধুবান্ধবও এতে আক্রান্ত বোধ করতে পারে, কিন্তু বিষয় আসলে সেটি নয়, এটা স্রেফ একটি অপব্যবস্থাকে বিদ্রুপ করা, এবং বিদ্রুপ সাহিত্যের বৈশিষ্টই হচ্ছে তা সমাজের প্রতিটি পেশাকে দায়ী করে, কারণ, একটি সমাজ বিষিয়ে ওঠে কোনো একক ব্যক্তি বা এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট পেশার কারনে নয়, মূলত এক্ষেত্রে সবার দায় থাকে। 

ধারাবহিকভাবে এখানে ৪৮টি ছড়া-কবিতা যুক্ত হবে, যেটি “ওয়াক থু” নামে একটি বই হিসেবে প্রকাশিত হবে। 

😎

ছোট শাহেদ বড় শাহেদ—
আমি তো সচক্ষে দেখে এসেছি
তাও যেখানে সেখানে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে!
এরা কী যে জঘন্য,
তবু তারা আজ সবখানে ঠিকই অগ্রগণ্য।
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র রাজনীতি করে যারা
তারা প্রায় সবাই শাহেদ, শিক্ষিত শাহেদ,
এরাই আবার ঐতিহ্যবাহী ইতিহাসের দাবীদার,
আসলে তারা পরস্পর
লুটপাটের সমজোতাকারী এবং অংশীদার।
বিএনপি তো যুদ্ধাপরাধী ছদ্মবেশী জামাত,
এদের সাথে এতটুকুই যা তাদের বড় তফাৎ।
জীবনভর করে এরা দলবাজি, লুটপাট, কারবারি
এরাই আবার রাষ্ট্রের কাছে খুব দরকারী!
ভালো বুদ্ধিজীবী যাদের বলি
এরাও ঠিকই ভাগ পায়,
সরাসরি চুরি করে না, ডাকাতিও করে না,
কিন্তু তারা শাহেদদের টাকায় বিদেশ ঘোরে
রোজ দুটো ভালো মন্দ খায় দায়।
কয়টা শাহেদ চিনি আমরা?
এখন গ্রামে গ্রামেও পৌছে গেছে এরা,
আমরা বুঝি না,
আসলে জনগণরে বাঁশ মারা শতভাগ সারা।

😎

পাত্রীর বাবা জানতে চেয়েছে,
ছেলে কি করে কিছু আজকাল?
পাত্রের বাবা বলছে,
বিসিএস কোচিং করে সকাল বিকাল।
সে তো তবে পড়াশুনা, শেষ হবে কবে শুনি?
কী যে বলেন বিয়াই মশাই!
বড় মাছটা ধরবে বলেই তো আঁটোসাটো জাল বুনছে,
আমাদের কাজ আমরা করি, বসে বসে শুধু দিন গুণি।
তা কতদিন লাগতে পারে?
এই ধরেন, দুই বছরের কিছু আগে পরে।
তবে তাই হোক, আমরা এখন অপেক্ষা করি।
কী যে বলেন বিয়েই মশাই,
মেয়ের বয়স কি কিছু কমছে?
শুভ কাজটা আমরা শিগগির সারি।
বউমা রাঁধবে, ও পড়বে, ভবিষ্যতে দেশটারে গড়বে।
মেয়েটাও তো আমার পড়ে?
তাতো পড়বেই, রাঁধবে বাড়বে আর পড়বে।
ভাবছি বিয়াই মশাই, মেয়টাকেও আমার কোচিং করাব,
বড় মাছটা ধরবে বলে আঁটোসাটো জাল বুনবে,
এরপর আমরা আবার বসব, বলেন, এভাবে চলবে?
মেয়েদের এত বয়সে বিয়ে ভালো না, বুঝলেন না?
কোচিংটা না হয় তারা একসাথেই করবে।
এতদিন খাবে কি তারা, কার ধার ধারবে?
ছেলেটা আমার রাজনীতিও করে, বুঝলেন না?
ও আসলে একসাথে সবই পারে!
বুঝেছি বুঝেছি, আর বলতে হবে না বিয়াই,
(মনে মনে)
ছাড়ছি না আর, ছেলে তো নেই নিজের,
চেয়েছি তো এমনই একটা জামাই।
বসে বসে আমরা চৌদ্দ গুষ্টি খাব এই এক চান্দুর কামাই।

😎

এইসব সরকারি কর্মকর্তা,
কোর্ট টাই স্যুট পরে,
সাবধানে নড়েচড়ে,
ঘুষ খেয়ে পকেট ভরে।

তবু তারা ভালো,
ঘরে বাইরে এরাই
আবার জ্বালে সব আলো।

বউকে দেয় এসি ঝাড়বাতি
জন্মদিনে হিরার গয়না,
মেটায় সব প্রেমিকা
পতিতাদেরও বাহানা।

কোনোমতে অফিশটুকু সারে,
হিন্দু মুসলিম নারী পুরুষ
এমনকি বন্দুক রাখে
জুচ্চোরদেরও ঘাড়ে।

পাঁচদিনের কামাই
ঘরভাড়া খাইদাই,
বিলিয়ে দেয়
আছে যারা জোন জামাই,
এরপর কিনতে থাকে,
শাড়ি, ঘড়ি গয়না,
আর দামী কনডম,
ভাগে ভাগে,
নতুন প্রেমিকার
ভাগটা এবার কিন্তু আগে।

এরা চিনে গেছে
লস অ্যাঞ্জেলেস বা পাতায়া
গরীবের পকেট কাটা
কিছু পয়শা ছিটোলেই
জুটে যায়
দিন দুপুরে রাতের বেহায়া।

অফিশে মায়ের পিছে,
সুযোগে তার মেয়ের পিছেও হন্তদন্ত,
এরাই করে পরিকল্পনা,
এরাই নেয় দেশের যাবতীয় সিদ্ধান্ত।

মানবে না তুমি! পারবে?
এদের আছে সরকার,
পাইক পেয়াদা দরবার,
বেশি চেঁচালে তুমি
ডিজিাটাল আইনে মামলা খাবে।
তোমরা যারা ব্লগার, দেশে থাকবে?
নাকি পালাতে
লেজ গুটিয়ে বিদেশ যাবে?

হা, সবাই না তারা মন্দ,
তবে প্রায় সবাই,
এজন্য এভাবেই বলতে হবে,
বদমাইশদের কাপড় টেনে টেনে
খুলতে হবে।

জনগণ,
তোমরা তবে বলতে থাকো
এরা সত্যি
দেশ ভূমি এবং মানুষ খেকো।

😎

আমি বলি
ধরো আগে সচিব মন্ত্রী দুচারটা
যারা রোজ বাজাচ্ছে দেশের বারোটা।
তবেই বরং জব্দ হবে শাহেদরা,
এদের জন্যই ওরা পায় আস্কারা।
চেয়ারে রেখেছো যাদের
ওরা মানুষ নয়,
তবু রোজ মানুষের বেশে
কাগজে কলমে খুন করে এদেশ হেসে।
আমি বলি
ওদের আগে ধরো
দুচারটে নেতা পাতি নেতা আর আমলা
তার আগে ভেবে নিও
কোন কোর্টে করবে এসব মামলা।
জেলা থেকে রাজধানীতে বিচারক যারা,
বাড়ি গাড়ি নারী দিয়ে ওদেরও করা যায় ভাড়া।
আমি বলি
অবশেষে বদলাও, বদলে ফেলো সব,
একলা নয়, দোকলা নয়, একসাথে তোলো রব।
এরা জুচ্চোর, এরা লুটেরা চোর ডাকাত
খোল নলচে বদলে দিতে হব সব হঠাৎ।

😎

নিজেকে শতভাগ নিরাপদে রেখে
দেশ উদ্ধার হয় না,
তবু তারাই সামনে, ছবক দিচ্ছে সমানে।
গবেষণার গুষ্টি মারি, জনপ্রিয় হবার জারিজুরি
এদের এখন সেলিব্রিটি হবার বায়না।
তবু তারা উদ্ধারকারী,
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একইসাথে আবার সুন্দরী।
সুযোগে, পিএইচডির নামে বিদেশ ঘুরে
নেচে কুদে এসেছে; পড়েছে জেনেছে বাল,
তবু তারা ডক্টরেট চীরকাল।
লেজে লেজ বেধে ফেলেছে এরা বৃত্তাকারে,
সব দেখে, সব বোঝে,
ফেঁসে গেলে একসাথে একই স্বরে হুঙ্কার ছাড়ে।
নেতা-ক্রেতা-লম্পট পুরুষের পাতা ফাঁদ কেটে
কৌশলে এরা গড়ে ক্যারিয়ার,
এরাই আবার নারীবাদী,
দিনরাত নারী জাতিরে করে উদ্ধার!
কে করবে কার বিচার?
দলবেধে এখন তারা করে সব অনাচার,
একটু লেখা ছাপতে চায়,
বা টিভিতে একটু কথা বলতে চায়,
মানুষকে পাশ কাটিয়ে
এজন্য এরা মতিউর ফতিউরের ডেরায় যায়।
তবু তারা ভালো, রূপসী এবং যুতসই উর্বসী,
মনটা না হলেও, দেহটা তাদের বেজায় শিক্ষক,
বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব
এবং জুচ্চোর স্বামীটাও তাতে থাকে খুশি।
আমরা আম জনতা এখব শুধু হাসি আর হাসি।

😎

এই সিস্টেম আমাকে ছিঁটকে
বাইরে ফেলে দিয়েছে
আরও অনেক আগে।
চারপাশে উঁচু দেয়াল
তুলে দিয়েছে এরা,
ধর্ম ব্যবসায়ী, রাজনীতিক পাণ্ডা,
এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ীরা।
আমি ঠুকরিয়ে ঠুকরিয়ে
দেয়ালে কিছু কোঠর বানিয়ে নিয়েছি,
এখন শুধু দেখে যাচ্ছি,
যদি বেঁচে থাকি
একদিন বলে যাব,
এটা আমার দায়িত্ব,
প্রজন্মরে ভালো-মন্দের হিসেবটি
বুঝিয়ে দেওয়া একজন লেখকের দায়িত্ব।
বাইরে এরা দ্বন্দ্ব করে খুব,
জনগণ মেতে গেলে,
ওরা গোপনে দফরফা করে,
একে অপরকে বাঁচায়,
জামাতি ব্যবসায়ীর টাকায়
বামাতি ঘরে এসি লাগায়,
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাজ বুদ্ধিজীবী
গণজাগরনের ঘাড়ে চেপে রয়,
যুদ্ধাপরাধী জামাতের ভয়,
মিস্টার অন্দরে বসে হিসাব মিলায়,
জাগরণের জোয়ারে যখন
সব পাপ ভেসে যায়,
ওরাই তখন পাপিষ্টদের বাঁচায়।
থাক, এখন না বলি,
আরও দশটা বছর যাক,
আমার পরিবার দুটো ডালভাত খেয়ে
আপাতত বেঁচে থাক।

😎

আরব থেকে ভারতে আইলো ঘোড়া,
হিন্দুত্ববাদরে কিছুটা করলো খোড়া।
তাতে মানুষের হইলো না কোনো লাভ,
এই মুসলমানেরও সেই একই হাবভাব।

তারা মানুষ হলো না, মানুষ করলো না,
ধর্মের নামে সেই একই শাসন শোষণ
আর যত অপকর্মের বাহানা।

শেষে শ্রেণিদ্বন্দ্ব ধর্মযুদ্ধে রূপ পেল,
সুযোগে উচ্চবর্ণ এবং ধনীরা আরো নিরাপদ হলো।
তাদের মাথা ফাটাবে না আর নিম্নবর্ণরা ক্ষোভে,
তারা বরং অন্যধর্মে চলে যাবে লাঘবে এবং লোভে।
হলোও তাই, প্রতিবেশী দুই দলিত এখন দুই ধর্মে
কেউ কাউকে নিতে পারে না আর
কোনো কাজেকর্মে, অবশ্যই না হৃদয়ে মর্মে।

আরব থেকে ইসলাম এলো,
কাদের তবে লাভ হলো?
সাহেদের মতো কিছু বেনিয়া আর বাটপাড়ের,
আর কিছু ধর্মান্ধ জঙ্গি ষাঁড়ের।

হিন্দুত্ববাদও রয়ে গেল, যোগ হলো মুসলমানিত্ব,
কাটা দিয়ে কাটা তুলতে গিয়ে
দুটো কাটাই রয়ে গেল,
ফাঁকে ব্রিটিশ এলো, চলেও গেল,
কাঁটা দুটো মাগার বের হলো না, ঢুকতেই থাকলো।

মানুষের মুক্তির যুদ্ধ রূপ নিল হিন্দু মুসলিম যুদ্ধে,
এরা কোমোর বেধে ঝাপিয়ে পড়লো
একে অপরের বিরুদ্ধে।

আগে ছিল অভিজাত আর দলিত,
জাত ফাত নানামুখী বর্ণের কথা তারা বলিত।
অভিজাতরা ঠিকই আবার পাশ কাটালো,
ধর্মের নামে দলিত দলিতরে কেটে
ভাসিয়ে দিতে চাইলো, দিলো।

এরপর প্রভুদের নেতা হবার ইচ্ছে হলো,
দেশ বানিয়ে আলাদা করলো,
হিন্দু মুসলিম কিন্তু সেই রয়েই গেল,
মানুষ হবার যুদ্ধটাও ঠিক থেমে গেল।

একজন সুমন চট্টোপাধ্যায় কবির সুমন হলো
হিন্দুত্ববাদের প্রতিবাদে,
মুসলিমরা এবার তাকে মেনে নিল নির্বিবাদে।
ওরা জানে না কবীর সুমন নিরিশ্বরবাদী,
মানবতার স্বার্থে
শুধু হিন্দুত্ববাদরে সজোরে আঘাত করতে
হয়েছে নতুন মানুষ,
কিন্তু নয় মোটেও সে ঈশ্বরবাদী বা মোহাম্মদী।

তাতে কী! জঙ্গিদের চাই জোট, চাই সমর্থন
তারা মানুষ সুমনকে পাশ কাটিয়ে
সুমনের ছদ্মবেশরে আঁকড়ে ধরে করে রোমন্থন।
তাই আমি বলি, এভাবে নয়,
বরং জোরে, আরো জোরে আঘাত করতে হয়।

বাঁচতে হলে বাঁচাতে হলে
ছুড়ে ফেলতে হয় এসব ধর্ম
এগুলো পরীক্ষীত অপকর্ম।

মানুষ হয়ে জন্মে করতে হবে শুধু মানুষের কাজ,
কাল নয়, এখনই, এসো নেমে পড়ি আজ।
না জায়নামায, না পূজোর আসন,
এগুলো আঁকড়ে ধরেছে একই দুঃশাসন।

তুমি তোমার ধর্ম ছোড়ো,
আমি আমারটা ছুড়ি,
এরপর আমরা মানুষ হয়ে
মানুষের জন্যে এক নতুন আবাস ভূমি গড়ি।

উৎসর্গঃকবির সুমন কে

😎

প্রাণ ভয়ে মসজিদ মন্দির হতে পালায়—
করোনার ভয়ে
ওরা এখন নিজ হাতে দেয়ালের ছিদ্র আটকায়।
তিন হাত তফাৎ রেখে বুঝে নেয় মাছ মাংস দুধ

বন্ধ ব্যবসা বাণিজ্য, তাতে কি?
থেমে নেই টাকায় টাকা বাড়া, থেমে নেই ব্যাংকের সুদ।

তোমরা যারা সাম্যবাদ খোঁজো ভাইরাস মহামারিতে

বলছি— মাথাটা রেখ না আর আলমারিতে।

হিসেবে করে দেখো কারা ঠিক মরছে জোরে?
যাদের নেই চাল চুলো, বাধ্য হয়ে যারা নিত্যদিন ঘোরে।

এখনো টাটকা ভোর আসে দুবৃত্তের দরজায়,

ভ্যানিলা, স্ট্রবেরি নাকি চকলেট—

রোজ রাতে ওরা ঠিকই কনডমের রং বদলায়।

😎

এরাই আবার লেখে,
কী লেখে?
চ্যাটের মাথা লেখে।
তাই নিয়ে
লেজে লেজ বেধে হইচই।
বইমেলা-
এরাই বানায় বই।
কবি, তুমি যাচ্ছ কই?
যাইও না, যাইও না,
ওদের দলে ভিইড়ো না,
দাঁড়াও! দাঁড়াও!
তরবারির মতো
সপাং সপাং
কলমটা চালাও।

😎

ভাব নাও কেন, ভাই?
পড়েছো
নিউটনের সূত্র
পড়াচ্ছোও তাই।
কী লাভ হচ্ছে তাতে?
ওরা কি জানে না
বইয়ের পাতা ওল্টাতে?
মাস গেলে যে
পঞ্চাশ হাজার টাকা পাও
ওটা আসলে ফাও,
এর চেয়ে কৃষকের
কর্ম বড়,
এর চেয়ে শ্রমিকের
কর্ম বড়।
অতএব
এইসব বাল ছালের
ভাবসাব বাদ দাও।
মানুষ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও।

Next Post

বিরতি // দিব্যেন্দু দ্বীপ

এতটা সুক্ষ্ম পরিকল্পনা করে জীবনটা সাজাইনি কখনও, আপন হয়ে দেখা দিয়েছে যা কিছু ছিল একসময় ভীষণ নগন্য। এ যেন ঠিক দীর্ঘ প্রতিক্ষীত দেখাদেখি বিবাহের প্রস্তুতি— হয় কোনো ভয়ে যেন অজ্ঞাত কোনো অরণ্যে, না হয় নতুন এক জীবনের জন্যে। এক কাপ চা-ও আজাকাল যেভাবে বানিয়ে, বসে, আয়েশ করে খাই, তাতে জীবনটা […]
রাজিব হাসান