ইলেকশন ইলেকশন মিশন গুজরাট
পদ্মাবতী হিন্দি ছবি দেশ জুড়ে বিতর্কের হাট।
পদ্মাবতী পদ্মাবতীর ইতিহাস লঙ্ঘন
তথ্যের কারচুপি নেইকো সমর্থন।
-কি করে জানলে দেখেছ ছবি?
-না! বলেছে এক রাজপুত কবি।
আলাউদ্দিন এর সাথে রানীর স্বপ্নে প্রেম সিকোয়েন্স;
স্বল্প পোশাকে ঘূমর নাচে মান মর্যাদা ডিস ব্যালেন্স।
-দীপিকার নাক কেটে নাও
সঞ্জয় লীলার কাটো মাথা।
-গণতন্ত্রে বলার অধিকার
তাকি নিতান্তই বাতুলতা !
তাণ্ডব করে করণী সেনা অধিকার তাদেরও আছে;
স্বাধীনতা মিইয়ে আসে রাজনীতির কাছে।
-পাড়ুকোন দু টাকার নাচনেওয়ালি;
ভাংচুর, পহেলা ডিসেম্বর ভারত বন্ধ!
– নাচছ তোমরাও; নাচাচ্ছে কেউ;
সবার পেছনে ভোটের গন্ধ।
ব্রাহ্মণ রাঘব চেতন আসলে যাদুকর।
নিষিদ্ধ যাদু বিদ্যা ধরা পড়ে হারায় চিতোর।
– তেমনি অকর্মণ্য সরকারের গদি হারাবার ভয়;
সাম্প্রদায়িক ধুনো দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায় ।
-ফিল্ম ও তো তার বিতর্ক উসকে প্রচার নিচ্ছে লুটে;
ফ্রি তে প্রমোশন ব্যবসাই মধ্য-কথা সবটাই বিদঘুটে।
-তাহলে আপনারা কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন; কেন সুযোগ দিচ্ছেন।
এক নারী কে মর্যাদা দিতে আরেক নারীর নাক কাটছেন?
-ঐতিহ্য ইতিহাস—
-ভোগাস! ভোগাস!
এতটাই ঠুনকো নাকি;
একটা সিনেমা পালটাবে টা কি?
-সিনেমা এফেকটিভ।
-শিক্ষা কেন ডিঅ্যাক্টিভ!
মানুষকে শিক্ষিত করুন;
খারাপ ভাল বিবেচনা ক্ষমতা গড়ুন।
প্রশাসন-তো আছে; আছে আইন কানুন সেন্সর বোর্ড সংবিধান;
দাঙ্গা ফ্যাসাদ করে খোঁজেন কোন প্রকারের সমাধান!
কেন্দ্রে এখনো খিলজি রয়েছে।
চেতনের সাথে দোস্তি হয়েছে।
পাঁচটি আনমোল রতন লোটার মন্ত্র;
পদ্মাবতীর দর্শন চেয়ে
আজও করে চলে ষড়যন্ত্র।
অতিথির বেশে
খিলজিরা দেশে;
রতন সিংয়ের সততার ঘাটে;
কপটতা দিয়ে গদি নেয় লুটে।
কেন্দ্রে এখনো খিলজি রয়েছে।
চেতনের সাথে দোস্তি হয়েছে।
আয়নাতে দেখে পদ্মাবতী;
লোলুপতার ফেরেনি সুমতি।
মুঠো বন্দি করেছ যারা এদেশের রতন;
ছল বল কৌশল ক্ষমা করবেনা মেরে বতন।
বীরত্ব, আদর্শ, কয়েক শত মতাদর্শ
এ ধরণীতে বেঁচে আছে দুই হাজার বর্ষ।
খিলজিরা সব আসবে যাবে;
পদ্মাবতী লোক গাঁথা হবে!
বীর গাঁথা হবে গোরা,বাদল
অত্যাচারী নিপাত যাবে হবেই হবে দিন বদল।
পালকি চড়ে সেনানী সাজে সাতশ সহচরী
রানীর বেশে লোহার আছে ছিঁড়তে শিকল দড়ি।
আমরা কপট নই
ছলনার উত্তর কেবল ছলনাতেই দিই।
ইতিহাসবিদরা বলে পদ্মাবতী নিছক কাল্পনিক;
আলাউদ্দিন সমকামী তার যৌন সঙ্গী দাস মালিক।
পদ্মাবতীর পোস্টার পড়েছে হলের সামনে ভীষণ ভিড়।
কেউ কিনতে অগ্রিম টিকিট কেউ ছুঁড়তে ক্ষোভের তীর।
অদূরেতে ফুটপাতেতে বৃদ্ধ এক ভিক্ষুক আছে বসে।
জনগণের কেলোর কীর্তি দেখে বেজায় হাসে।
-আপনি জানেন পদ্মাবতী কে?
– খুঁজছেন কাকে?
লোকটা বোধয় কানে কালা শোনে না ভালো।
একটু জোরে জানতে চাওয়ায় অবিশ্বাস্য ফল হলো।
-জানেন পদ্মাবতী কে মানে পদ্মারানী?
লোকটা চেঁচিয়ে উঠলো; – পোঁদ মারানি!
সবাই ঘুরে দাঁড়াল লোকটার দিকে সমবেত মানুষের হুল্লোর গেছে থেমে;
পরস্পরের মুখের দিকে চেয়ে; বৃদ্ধ এ সম্বোধন করলো কার নামে!
দিকে দিকে ক্ষুধার্ত মানুষের অসহিষ্ণুতা;
যাদের পেটে ভাত আছে তারাই করে আদিখ্যেতা!
যে দেশে প্রতি সেকেন্ডে একজন করে নারী নির্যাতিত;
ঘরে ঘরে পদ্মাবতী আজও রাখে জহর ব্রত।