হে মহাপ্রলয়ের নটরাজ! কেন তোমার প্রলয়নৃত্যে
ধ্বংস করছ না এ ধরিত্রী!
তোমার পাগলী মায়ের দামাল ছেলে কামাল ভাই
আর ক্ষ্যাপে না।
আমরা তোমার ভাগ্যদেবীর যজ্ঞবেদীর
বলির পাঁঠাই রয়ে গেলাম!
জল্লাদেরশানিত অস্ত্র সদা প্রস্তুত
হাড়িকাঠের পাঁঠা দিতে বলিদান।
চাই না তোমার হাতে শ্যামের বাঁশরী!
তোমার এক হাতে থাক ধর্মরাজের দণ্ড,
অপর হাতে যেন থাকে রণতূর্য।
এই বেনুতে ব্রজের বাঁশির সুর প্রয়োজন নেই!
বংশীধারী নয়; বজ্রধারীরূপে এসো।
হে বিদ্রোহীসুত! হে ধূর্যটি! তুমি কেন ধ্বংস করো না
এ ধরিত্রী অকাল বৈশাখীর মহাতাণ্ডবে!
সৃষ্টিতে হয়না আজ সুখের উল্লাস;
অনাকাঙ্খিত অনাসৃষ্টি আর ব্যাসনে বিলাস
অপকর্মের ফসলে ভারাক্রান্ত বসুধা।
তোমার সাম্যের গান আজি নিষ্ফল
মাথা কুটে মরে; করে অরণ্যে রোদন!
তেতলার মানুষ ন’তলায় উঠেছে,
মাটির দেবতা পাতালে মিশেছে।
কে লঙ্ঘিবে দুর্গম গিরি, কে লঙ্ঘিবে কান্তার মরু
এ গিরি সংকটে তুমি না আসিলে কে ধরিবে হাল!
রুষে একবার সপ্ত নরক, হাবিয়া দোযখ
তব কম্পিত পদে কাঁপিয়ে দিয়ে যাও।
মেতে নব সৃষ্টির মহানন্দে
জরাগ্রস্ত ধরণীরে ভেঙ্গে কর চুরমার।
ষোড়শীর হৃদে প্রেমরূপে নয়;
গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনিও নয়;
তুমি এসো প্রভঞ্জনের উচ্ছ্বাস আর
বারিধীর মহাকল্লোলের মত।
তুমি এসো হে ক্ষ্যাপা দুর্বাসা;
মহাপ্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস!
আরও একবার! রক্ত ঝরাতে না পারলেও
কিছু রক্ত লেখা লিখে যাও কবিবর।