১। পুলিশ কি কোনভাবে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করতে দেবে? কোনো পরিস্থিতি কোন সরকার তা করতে দেবে?
২। ছাত্র ইউনিয়ন ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও করার মধ্য দিয়ে আসলে কী অর্জন করতে চেয়েছে? নিশ্চয় এটা তারা ভাবেনি যে, তারা ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ বাহিনী কার্যালয় ছেড়ে পালাবে, তাহলে?
৩। স্পষ্টতই, ছাত্র ইউনিয়ন বা সিপিবি (যদিও এটা শুধু ছাত্র ইউনিয়ন বা সিপিবি নয়) বাঁধার মুখে পড়তে চেয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কতটুকু বাঁধার মুখে পড়তে চেয়েছিল?
৪। দূর থেকে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাটকেল নিক্ষেপ করা আর কয়েক কদম দূরে দাঁড়িয়ে আস্ত ফুলের টব নিক্ষেপ করা এক কথা নয়।
৫। এটি মেনে নিলে বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হত।
৬। পুলিশ এক্ষেত্রে বুদ্ধির পরিচয় দিতে পারেনি এবং মেয়েটিকে যেভাবে ধরেছে সেটি নিন্দনীয়, উচিৎ ছিল মেয়েটিকে সহজে গ্রেফতার করা। সে সুযোগ তো ছিলই। তাছাড়া যেহেতু আন্দোলনকারীদের মধ্যে নারী ছিল, তাই নারী পুলিশ মোতায়েন থাকা উচিৎ ছিল।
৭। এই ডেমোস্ট্রেশনে সন্দেহ করার কোনো সুযোগ আছে কিনা ভেবে দেখতে হবে। তবে একথা অবশ্যই বলতে হবে যে, লিটন নন্দী এবং লাকী আক্তারের মত তরুণরা আদর্শ থেকেই যায়, কিন্তু উপরে যারা, নেতৃত্বে যারা তাদের সাথে অন্য কারো শলাপরামর্শ চলে না সেকথা তো বলা যাবে না, যাবে কি?।
[আসলে গ্রহণযোগ্যতা পেতে হলে বামদলগুলোকে এখন কাজ করে দেখাতে হবে, বাহাসের যুগ শেষ হয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন করার পাশাপাশি ভাল মজুরী দিয়ে কয়েকটি গার্মেন্টস সফলভাবে পরিচালনা করে দেখাতে হবে। এটি একটি উদাহরণ মাত্র, কেন তারা তা করে না? শুধু তাই না, একটি রাজনৈতিক দল চালাতে খরচ লাগে। বুঝলাম যে, আওয়মী লীগ চলে চাঁদার টাকায়, বিএনপি চলে জামাতের টাকায়, জামাত চলে ‘৭১ এবং তৎপরবর্তী লুটাপাটের টাকায়, তাহলে বামদলগুলো চলে কোন টাকায়? মাঝে মাঝে জনগণের কাছ থেকে টাকা তোলার যে বাহানা, তাতে দল চলার কথা না, দলের খরচ খুব কম বলেও মনে হয় না। পোস্টার ছাপাতে এবং সারা ঢাকায় মাঝে মাঝে তা লাগাতে খুব কম খরচ না। খরচ তো আরো অারো আছে, আছে তো, নাকি? বামদলগুলোর উচিৎ হবে তাদের ডোনারদের পরিচয় স্পষ্ট করা, এটাই তো তাদের নীতি হওয়া উচিৎ, নাকি? না হলে মানুষ সন্দেহ করবে, বলবে জামাত-বিএনপি মাঠে নামতে পারছে না বলে ইস্যু পেয়ে বামদলগুলো মাঠে নেমে এখন পরিস্থিতি খারাপ করতে চাইছে? আপনারা সে সুযোগ দেবেন কেন? এরকম ভাবার সুযোগ তো আছে মানুষের, তাই না?]