শুভ দত্ত সৌরভ, ১০ জুলাই ২০১৮
বাগেরহাটের সরকারি পিসি কলেজের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ২৬ জুলাই ২০১৮ এ নগর বাউল জেমসের আগমন উপলক্ষে সবার মধ্যে এক চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৭ জুলাই সাধারন শিক্ষার্থীরা ছাত্রসংসদের ভিপি ইয়াছির আরাফাত নোমান এর কাছে আবেদন করেছিল যাতে নগর বাউল জেমস কে আনার হয়। আজকে সাধারন শিক্ষার্থী সহ নেতৃবৃন্দ সরকারি পিসি কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ বসু ’র সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলার জন্য সাক্ষাত করে।
উপস্থিত ছিলেন ছাত্র মিলনায়তনের সম্পাদক হাসান চৌধুরী নয়ন, ছাত্র মিলনায়তন সহ সম্পাদক জিহাদুল ইসলাম, মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, কামাক্ষা চরন হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রসেনজিৎ মণ্ডল, সাধারন সম্পাদক সুমন কুমার পাইক, পিসি কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য মইনুল হক আকাশ, ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম আরমান সহ আরও অনেকে।
অধক্ষ্য মহোদয়ের কাছে তাঁদের একটাই আবেদন- শতবর্ষের অনুষ্ঠানে নগর বাউল জেমস কে আনতে হবে। অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তাঁরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী দিতে না দিতেই অধ্যক্ষ দাবী মেনে নেন।
অধ্যক্ষ অভিজিৎ বসু বলেছেন, যদি সম্ভব হয় অবশ্যই আমরা জেমসকে আনব। তাকে নিয়েই আমরা শতবর্ষ উদযাপন করব।
সরকারি পিসি কলেজ ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম আরমান ফলোআপনিউজকে জানান- দক্ষিন বাংলার ঐতিহ্যবাহী সরকারি পিসি কলেজ। এখানে শতবর্ষ উদযাপন করতে এমন কাউকে আনা প্রয়োজন যাকে সবাই পছন্দ করে। নগর বাউল খ্যাত শিল্পী জেমসের নিরাপত্তার কথা উঠে আসছে, তবে এটা নিয়ে কোনো দ্বিধাবোধ করার দরকার নেই। বাংলাদেশে প্রশাসন এতটা দুর্বল নয় যে জেমস যদি ঢাকা, খুলনা সহ সর্বত্র জায়গাই প্রোগ্রাম করতে পারে তাহলে সরকারি পিসি কলেজে পারবে না। দরকার হলে ছাত্রলীগ ভ্যানগার্ড হয়ে দাঁড়াবে। পিসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ইয়াছির আরাফাত নোমানের ক্ষমতা চলাকালীন কলেজে একটা ককটেলও ফাটেনি, একটা গুলি ফাটেনি সেই পিসি কলেজে আমার মনে হয় না এই কনসার্টে আদৌ কোনো সমস্যা হবে। আমরা প্রাণখুলে সবাইমিলে কাজ করব। আমাদের প্রানপ্রিয় বড় ভাই ইয়াছির আরাফাত নোমান ভাইয়ের পরামর্শ মতো কাজ হবে। সাধারন ছাত্রছাত্রীরা সমসময় আমাদের পাশে আছে।
এরপর পিসি কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি ইয়াছির আরাফাত নোমান কলেজ প্রশাসনের সাথে মিটিং করেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে এটাই দাঁড়ায় যে সরকারি পিসি কলেজের শতবর্ষ উদযাপনে ২৬ জুলাই ২০১৮ এর কনসার্টে নগর বাউল জেমস আসছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। খবরটা শুনে সরকারি পিসি কলেজে একাদশ, দ্বাদশ, অনার্স, মাষ্টার্স, ডিগ্রী সকল শাখায় শিক্ষাথীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এক চরম উন্মাদনা। “কবে আসবে গুরু, কবে আসবে গুরু।” এই অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আছে সবাই।